মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় এক মর্মমূল ছেঁড়া বেদনার ঘটনা ঘটেছিল এই বাংলায়। ৭০ বছর আগে এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে। বুকের তাজা রক্তে বসন্তের রাঙা ফুলের মতোই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন ভাষা সৈনিকেরা।মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ।
সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে ভাষা শহীদদের স্মরণে। বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়েই। বাংলাদেশের পাশাপাশি এ দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বিশ্বের অনেক দেশ। কিন্তু এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। নেই কোনো কর্মসূচি। উত্তোলন করা হয় নি জাতীয় পতাকা। ফলে উপজেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভাষা প্রেমিরা।
এ বিষয়ে জানতে সর্বানন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ চাঁদ মিঞাকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি দিলেন দায় সাড়া জবাব। বললেন আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি? এর সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি তিনি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফাহমিদা ইয়াসমিন কাকলি এ বিষয়ে বলেন, আমরা উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে মিটিং করে যথাযথ মর্যাদায় এ দিবসটির কর্মসূচি পালনের কথা স্পট ভাবে জানিয়েছি। তারপরও সর্বানন্দ ইউনিয়নের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় নি; তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিসেস আফরোজা বারী এ বিষয়ে দিলেন উল্টো ব্যাখ্যা। তিনি জানালেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে হেরে গিয়ে এখন মর্মাহত। তাছাড়াও সর্বানন্দ ইউনিয়নে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের ঠিকানায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে সাইনবোর্ড থাকলেও অফিস নেই বলে জানান তিনি।