নুপুর কুমার রায়,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলায় বুধবার(২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় গালা ইউনিয়নের মাজ্জান গ্রামের নেপিয়ার ঘাসের জমি থেকে ফাতেমা খাতুন নামের ছয় বছরের শিশুর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মৃত শিশু ওই গ্রামের দিনমজুর সোবাহান আলীর মেয়ে।
অপরদিকে, পৌর এলাকার পাড়কোলা মহল্লায় দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী সেতু (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চিনাধুকুরিয়া গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে ও পৌর সদরে নানা’র বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করতো।
শিশু ফাতেমার বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত রবিবার সকালে আখ কেটে দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের আবেদ আলীর ‘বখাটে’ ছেলে নজরুল ইসলাম (২০) শিশুকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। অপরদিকে বখাটে নজরুল ইসলামও পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা সোবাহান আলী নজরুলকে সন্দেহজনক আসামি করে বুধবার দুপুরে শাহজাদপুর থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন। এদিন বিকেলে বাড়ির পাশে একটি নেপিয়ার ঘাসের জমিতে শিশুর একটি পা পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহাবশেষ উদ্ধার করে। পরে মৃতের পরিবার শিশুটিকে শনাক্ত করে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘শিশুটির কানে স্বর্ণের দুল পড়ে ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এই দুল ছিনিয়ে নেওয়ার লোভে শিশুকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর তার লাশ নেপিয়ার ঘাসের জমিতে ফেলে যেতে পারে। লাশটি পঁচে গেছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে সেতু তার নানার বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। আমরা বিকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদক হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে বলে জানান শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।