• সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বারি’তে সাইন্স কমিউনিকেশন ট্রেনিং অনুষ্ঠিত ট্রেনের ধাক্কায় আহত যুবকের মৃত্যু ভাঙ্গুড়ায় পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু কুড়িগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, স্ত্রীকে মারধর করে লুটপাট-ভাঙচুর ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের উন্নয়নকল্পের টাকা নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১ জুয়া খেলা ও নির্যাতন বন্ধে থানায় অভিযোগ করায় স্ত্রীকে ডিভোর্স, তিন দিন ধরে অনশন জয়পুরহাটে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাই – ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাবরক্ষকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিরাজগঞ্জে বিএনপির  সমাবেশ অনুষ্ঠিত  শাহজাদপুরে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করলেন আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মিরু লালমনিরহাটে নিহত সাংবাদিক ইউনুছ আলীর পরিবারের পাশে মন্ত্রী লালমনিরহাট প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন! দিনাজপুর-৫ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজি গফুরের সংবাদ সম্মেলন গোমস্তাপুরে মাতৃপুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা কর্মশালা অনুষ্ঠিত সলঙ্গায় ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ময়মনসিংহ থেকে অপহরণ কিশোরী গাজীপুর থেকে উদ্ধার  সিরাজগঞ্জে বৃষ্টিতে বিকেলে নৌকার পক্ষে  শেহেরিন সেলিম রিপনেরর প্রচরনা ও গণসংযোগ সিরাজগঞ্জে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস পালিত লালমনিরহাটে বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত!

শিশু-কিশোরদের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

কলমের বার্তা / ১২৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মের জানা উচিত বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ ইতিহাস জানলে শিশু-কিশোররা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে তারা স্বার্থপরের মতো নিজেকে ভালো রাখা, নিজে ভালো থাকার কথা চিন্তা করবে না। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করার একটা আগ্রহ সৃষ্টি হবে। একটা চিন্তা আসবে। যেটা আমাদের জন্য খুবই দরকার।’ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চিত্রকর্ম (স্ক্রল পেইন্টিং) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

চিত্রশিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের আঁকা দেড়শ ফুট আকারের (দেশের সর্ববৃহৎ) এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা… সেই সময় যারা তরুণ, যুবক, শিশু-কিশোর ছিলেন তারা বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারেনি। এ বিষয়ে আমার মনে হয় আরও সকলের একটু নজর দেওয়া দরকার।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২১শে ফেব্রম্নয়ারি আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস কেন আমরা উদযাপন করি, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বা ১৫ই অগাস্ট জাতির পিতাকে আমরা হারিয়েছি যেই নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড বা ৭১-এ যেভাবে গণহত্যা হয়েছে… সেই সময়ে যে সাহস নিয়ে আমাদের নিরস্ত্র বাঙালি অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, সেই বিজয়ের সঠিক ইতিহাস… এই রকম বহু ঘটনা আমাদের জীবনে হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের শিশু-কিশোর এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের জানানো উচিত।’

গত প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশের উন্নতির কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমি মনে করি আমাদের এই যে অর্জনগুলো, এ অর্জনের পেছনে যে ত্যাগ তিতিক্ষা বা যে অর্জনের পেছনে যে অবদান… আজকে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারা বা নিজের একটা রাষ্ট্র, একটা আলাদা জাতিসত্তা আমাদের হয়েছে এই জিনিসগুলো কিন্তু এ দেশের মানুষের জানা উচিত।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। সেজন্য ২১ বছর এই জাতির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আর এ ২১ বছর একটা চেষ্টাই করা হয়েছিল যেন জাতির পিতার নাম না থাকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামটাই মুছে ফেলা… সেটা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস হোক আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হোক। সবকিছু থেকেই তাকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার একটি চেষ্টা পাকিস্তান যেমন করেছে, পঁচাত্তরের পর যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারাও করেছেন। কিন্তু আমাদের যারা শিল্পী-সাহিত্যিক আছেন, তারা তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে, তাদের তুলির আঁচড়ে, কবিতার মাধ্যমে, গানের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে এই নামটি চিরভাস্বর করে রেখেছেন।

সেজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ একটি প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি থেকেই শুরু করে সবাই কাজ করেছেন। আমরা রাজনৈতিকভাবেও চেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের দেশের প্রতিটি অর্জনে, সংগ্রামে শিল্পীদের অনেক অবদান রয়েছে।’ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবন পট’ এর চিত্রকরের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অনন্য সৃষ্টিকর্মের আমাদের শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে যে তথ্যগুলো প্রকাশ হচ্ছে সেটা কিন্তু আমাদের অনেক কিছু জানায়।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘শিল্পী বিকাশ স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে সবকিছু চিত্রকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। কারণ একজন শিল্পী কীভাবে এমন চিত্রকর্ম আঁকতে পারেন তারমধ্যে যদি বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা না থাকে, আত্মবিশ্বাস না থাকে! এটি একটি অসাধারণ শিল্পকর্ম।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান হাতে লেখা এবং সেটার প্রথম ডিজাইন কিন্তু দেশের শিল্পীরা যারা ছিলেন তারাই করেছিলেন। চিত্রকলার প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ ছিল উলেস্নখ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটিকে এমনভাবে প্রদর্শন করা উচিত যেন সকল মানুষ এটিকে দেখতে পাই। শুধু এয়ারপোর্ট না টুঙ্গিপাড়ায় এমন একটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হবে, এমন একটা জায়গায় করার চেষ্টা করছি… যারা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যান তারাও এই চিত্রকর্মটি দেখতে পারেন। তার জন্য একটা স্থান সৃষ্টি করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই চিত্রকর্মটি অনলাইনেও যেন মানুষ দেখতে পারেন সে ব্যবস্থাটি আমরা করব। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, সেখানে আমরা এটিকে স্থাপন করব। এই চিত্রকর্মটি আমরা সমগ্র বাংলাদেশে যেন প্রদর্শিত হয় সে ব্যবস্থা করব। সেই সঙ্গে আমাদের প্রবাসে যারা আছেন, তাদের দেখার ব্যবস্থা করব। এটা করা খুব কঠিন কাজ নয়। এটা আমরা করতে পারব।’ শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, ‘আমি যে শিল্পকর্মটি তৈরি করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিশ্বাস করে আমাদের সর্বস্তরের মানুষের কিছু দায়িত্ব ছিল। আমি সামান্য একজন চিত্রশিল্পী, আমি কিইবা করতে পারি। আমি আমার জায়গা থেকে একটা স্ক্রল পেইন্টিং করি।’ আমার নিজস্ব স্টুডিও নেই। আমি আমার ঘরের মধ্যে কাজ করি। আমার এই শিল্পকর্ম তৈরিতে আমার চেয়ে আমার স্ত্রী বেশি অবদান রেখেছে। আমার সন্তানরা কাজ করেছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ প্রান্তে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি জামাল আহমেদ, শিল্পী আফজাল হোসেন, শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বক্তব্য দের্ন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মের জানা উচিত বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ ইতিহাস জানলে শিশু-কিশোররা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

আর সেই সঙ্গে সঙ্গে তারা স্বার্থপরের মতো নিজেকে ভালো রাখা, নিজে ভালো থাকার কথা চিন্তা করবে না। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করার একটা আগ্রহ সৃষ্টি হবে। একটা চিন্তা আসবে। যেটা আমাদের জন্য খুবই দরকার।’ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চিত্রকর্ম (স্ক্রল পেইন্টিং) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের পট’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। চিত্রশিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের আঁকা দেড়শ ফুট আকারের (দেশের সর্ববৃহৎ) এ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে, প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা… সেই সময় যারা তরুণ, যুবক, শিশু-কিশোর ছিলেন তারা বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারেনি। এ বিষয়ে আমার মনে হয় আরও সকলের একটু নজর দেওয়া দরকার।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২১শে ফেব্রম্নয়ারি আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস কেন আমরা উদযাপন করি, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বা ১৫ই অগাস্ট জাতির পিতাকে আমরা হারিয়েছি যেই নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড বা ৭১-এ যেভাবে গণহত্যা হয়েছে… সেই সময়ে যে সাহস নিয়ে আমাদের নিরস্ত্র বাঙালি অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, সেই বিজয়ের সঠিক ইতিহাস… এই রকম বহু ঘটনা আমাদের জীবনে হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের শিশু-কিশোর এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাদের জানানো উচিত।’

গত প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশের উন্নতির কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আমি মনে করি আমাদের এই যে অর্জনগুলো, এ অর্জনের পেছনে যে ত্যাগ তিতিক্ষা বা যে অর্জনের পেছনে যে অবদান… আজকে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারা বা নিজের একটা রাষ্ট্র, একটা আলাদা জাতিসত্তা আমাদের হয়েছে এই জিনিসগুলো কিন্তু এ দেশের মানুষের জানা উচিত।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। সেজন্য ২১ বছর এই জাতির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আর এ ২১ বছর একটা চেষ্টাই করা হয়েছিল যেন জাতির পিতার নাম না থাকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামটাই মুছে ফেলা… সেটা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস হোক আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস হোক। সবকিছু থেকেই তাকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার একটি চেষ্টা পাকিস্তান যেমন করেছে, পঁচাত্তরের পর যারা স্বাধীনতা বিরোধী তারাও করেছেন। কিন্তু আমাদের যারা শিল্পী-সাহিত্যিক আছেন, তারা তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে, তাদের তুলির আঁচড়ে, কবিতার মাধ্যমে, গানের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে এই নামটি চিরভাস্বর করে রেখেছেন। সেজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কারণ একটি প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি থেকেই শুরু করে সবাই কাজ করেছেন। আমরা রাজনৈতিকভাবেও চেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের দেশের প্রতিটি অর্জনে, সংগ্রামে শিল্পীদের অনেক অবদান রয়েছে।’ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবন পট’ এর চিত্রকরের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অনন্য সৃষ্টিকর্মের আমাদের শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে যে তথ্যগুলো প্রকাশ হচ্ছে সেটা কিন্তু আমাদের অনেক কিছু জানায়।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘শিল্পী বিকাশ স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে সবকিছু চিত্রকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।

আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। কারণ একজন শিল্পী কীভাবে এমন চিত্রকর্ম আঁকতে পারেন তারমধ্যে যদি বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা না থাকে, আত্মবিশ্বাস না থাকে! এটি একটি অসাধারণ শিল্পকর্ম।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান হাতে লেখা এবং সেটার প্রথম ডিজাইন কিন্তু দেশের শিল্পীরা যারা ছিলেন তারাই করেছিলেন। চিত্রকলার প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ ছিল উলেস্নখ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটিকে এমনভাবে প্রদর্শন করা উচিত যেন সকল মানুষ এটিকে দেখতে পাই। শুধু এয়ারপোর্ট না টুঙ্গিপাড়ায় এমন একটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হবে, এমন একটা জায়গায় করার চেষ্টা করছি… যারা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যান তারাও এই চিত্রকর্মটি দেখতে পারেন। তার জন্য একটা স্থান সৃষ্টি করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই চিত্রকর্মটি অনলাইনেও যেন মানুষ দেখতে পারেন সে ব্যবস্থাটি আমরা করব।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, সেখানে আমরা এটিকে স্থাপন করব। এই চিত্রকর্মটি আমরা সমগ্র বাংলাদেশে যেন প্রদর্শিত হয় সে ব্যবস্থা করব। সেই সঙ্গে আমাদের প্রবাসে যারা আছেন, তাদের দেখার ব্যবস্থা করব। এটা করা খুব কঠিন কাজ নয়। এটা আমরা করতে পারব।’ শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, ‘আমি যে শিল্পকর্মটি তৈরি করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিশ্বাস করে আমাদের সর্বস্তরের মানুষের কিছু দায়িত্ব ছিল। আমি সামান্য একজন চিত্রশিল্পী, আমি কিইবা করতে পারি। আমি আমার জায়গা থেকে একটা স্ক্রল পেইন্টিং করি।’ আমার নিজস্ব স্টুডিও নেই। আমি আমার ঘরের মধ্যে কাজ করি। আমার এই শিল্পকর্ম তৈরিতে আমার চেয়ে আমার স্ত্রী বেশি অবদান রেখেছে। আমার সন্তানরা কাজ করেছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ প্রান্তে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি জামাল আহমেদ, শিল্পী আফজাল হোসেন, শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বক্তব্য দেন।

44
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর