আল-আমিন, উল্লাপাড়া :
সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান বলেছেন, শেখ হাসিনা পিতৃ হত্যার প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন। তিনি এদেশের মানুষকে কখনোই ভালবাসেন নাই। এদেশের মানুষকে হত্যা করাইছিল তার নেশা। শেখ হাসিনা এদেশে গুমের রাজনীতি চালু করেছে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার বেলা ১১ টার দিকে উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজে সুধি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আর কায়েস,ভিপি শামীম হাসান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব, সদস্য সচিব আজাদ হোসেন,যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা,সদস্য সচিব নিকসন কুমার আমিন সহ আরো অনেকেই।
খাঁন সাঈদ হাসান, প্রথমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এবং আহত ছাত্রজনতা কে স্মরণ করেন। এরপর তিনি বলেন ২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতা আসার পর তাকে অন্যায়ভাবে ওএসডি করা হয়। ২০১০ সালে তাকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী না দেওয়ায় তার নামে গ্রেনেড হামলা মামলার সাথে জড়িয়ে দেয়। ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তী তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে ৪ বছর কারাভোগ করেছেন। তিনি সুধি সমাবেশে আরো বলেন শেখ হাসিনা ১৬ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করেছেন। হাসিনা কে দেশে নিয়ে আসার জন্য যারা মায়াকান্না করছে এবার তাদের নেত্রী আসলে, জনগণ আর ভুল করবে না, তাকে প্রতিহত করবে। তারেক রহমানকে দেশে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন ডিসেম্বর এর ৯ তারিখের মধ্যেই তার সকল মামলা মোকাবিলা করে এই বছরের ডিসেম্বরেই দেশে ফিরে আসবে। মিথ্যা মামলা খুন গুম তারা করেছে তাদের কে ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল রহমান বাচ্চু বলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দেশের বাইরে বাড়ি-গাড়ি করেছেন। এই নেতা আরো জানান আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়ে তাদের নেতাকর্মীরা দেশটাকে লুটপাট করে দেউলিয়া করে দিয়েছে। প্রতিটি জায়গায় দূর্নীতি করেছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।