জেলার হাতীবান্ধায় উপজেলায় স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে সকালে স্বামী হিমাংশু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতেই স্বামীর মৃ্ত্যু হয়েছে।
পরিবারের দাবী, তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবী, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একটি রুমে একা রাখা হলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদাপাড়া থেকে ছবিতা রানী (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার স্বামী হিমাংশু রায়কে মৃত্যুর কারণ জানতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।
হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. হিরন বর্মণ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
হিমাংশুর বড়ভাই সুধীর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার সুস্থ ভাইকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। থানা হেফাজতে কীভাবে মারা গেলো আমাদের জানা নেই। তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ওই এলাকার বিশেশ্বর রায়ের পুত্র হিমাংশু রায়ের বাড়িতে তার স্ত্রী ছবিতা রানীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে একা রাখা হয়। ওই রুমে হিমাংশু রায় ওয়াইফাই (ইন্টারনেট) সংযোগের তার গলায় পেঁচিয়ে জানালার সাথে লাগিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। পরে টের পেয়ে পুলিশ তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।