নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বাড়ির সিমানা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর মাদ্রাসার সুপারসহ দুই পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সলঙ্গা থানার ভট্রমাঝুড়িয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফতিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো, ইসলামপুর (মাঝিপাড়া) ধরাইল দাখিল মাদ্রাসার সুপার, থানার ভট্রমাঝুরিয়া গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেন ছেলে আতাউর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৫০), আমানুর রহমান (৪০) স্ত্রী শিউলি খাতুন ( ৩৫) , বাবা মোজাফ্ফর হোসেন (৯০), একই গ্রামরে ফজলার রহমানের ছেলে আবুল কালাম (৩৫) ও তার স্ত্রী স্বর্না খাতুন (২২)।
আহত আমানুর রহমান বলেন, আমাদের বাড়ির সিমানার জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ ফজলার রহমাননের ছেলে আবুল কালাম, আব্দুল হাকিম, আব্দুল হাই গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় আমি ও আমার স্ত্রী শিউলি আমাদের বসত বাড়ির উঠানে রাখা ধান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাই। পরে আবুল কালাম গং তাদের ভাড়াটিয়াদের নিয়ে এসে দেশীয় অস্ত্র রামদা-কাঠের বাটাম, লাঠ-সোটা ইত্যাদি নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এসময় আমাদের আত্ম চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরেও হামলা চালায়। এসময় আমার বড় ভাই আতাউর রহমানকে হত্যার উদ্যেশ্যে মাথায় আঘাত করে এতে মাথা ফেটে যায় ও ভেঙ্গে যায়, আমার ভাবী ফিরোজা খাতুন ও আমার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন এগিয়ে আসলেও তার এলোপাথারিভাবে মারপিট করে।
আব্দুল হাকিম বলেন, র্পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত আমাদের রাস্তায় বেরিগেট দেয়, এবছরও আমাদের বাড়ির আঙ্গীনায় তারা খরের পালা দেয়। খরের পালা সরিয়ে দিলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। তখন দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল লতিফ জানান, খরব পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।