সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পরিণত বয়সের প্রেমিক-প্রেমিকা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করলেও প্রেমিকার বাবার অত্যাচার-নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না প্রেমিকসহ তার পরিবার। আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ে করলেও স্ত্রীর বাবার মিথ্যা অপহরন মামলায় প্রায় আড়াই মাস জেল-হাজত খাটতে হয়েছে প্রেমিককে। জেল থেকে বের হবার পরেও শ্বশুর ও তার স্বজনদের অব্যাহত হত্যার হুমকি ও মারপিটের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রেমিক রেজাউল করিম রাজু। তাকে না পেয়ে তার পরিবারের উপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছে শ্বশুর ও তার স্বজনরা। জানা যায়, সিরাজগঞ্জর সলঙ্গার নলকা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকার আলম চাঁদপুর পুর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক কসাইয়ের মেয়ে রাজিয়া খাতুন (১৮) এর সাথে একই গ্রামের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ছেলে রেজাউল করিম রাজু (২০) এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমতাবস্থায় গত ১০ ফেব্রয়ারী বগুড়া নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে তারা দুজন একে অপরের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু রাজিয়ার বাবা আব্দুর রাজ্জাক কসাই বিয়ে মেনে না নেয়ায় ১৪ ফেব্রয়ারী দুজনে বগুড়া পালিয়ে যায়। এতে রাজিয়ার বাবা ক্ষুদ্ধ হয়ে মিথ্যা অপহরন মামলা দায়ের করে।
র্যাব-১২ এর সদস্যরা ২২ ফেব্রয়ারী স্বামী-স্ত্রী দুজনকে আটক করে। পরবর্তীতে রাজিয়াকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বাবা বাড়ীতে নিয়ে যায়। পুলিশ রাজুকে জেল-হাজতে পাঠায়। দীর্ঘ আড়াইমাস জেল খেটে বের হয় রেজাউল করিম রাজু। জেল থেকে বের হয়েও রক্ষা হচ্ছে না রাজুর। রাজিয়ার বাবা রাজ্জাক কসাই রাজুকে নানান ভাবে হত্যার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ অবস্থায় রাজু পালিয়ে বেড়ালেও রাজ্জাক কসাই ও তার স্বজনরা বেপোরোয়া হয়ে ওঠে। গত শনিবার রাজ্জাক কসাই তার স্বজনরা রাজুর চাচাতো ভাই রুহুল আমিন ও জাহাঙ্গীরকে মারপিট করে। এমনকি প্রতিনিয়ত তার শিক্ষক বাবা শহিদুল ইসলামকে রাস্তায় নানাভাবে হয়রানি-কটুক্তিসহ নির্যাতন করছে।
রেজাউল করিম রাজু জানান, আমরা দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক। দুজনের সম্মতিতেই বিয়ে করে আমরা বৈধ স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু আমার শ্বশুর আমাদের বিয়ে মেনে না নিয়ে উল্টো অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেছে। আমার স্ত্রীর ভাই পুলিশে চাকুরী করায় প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। এখন প্রতিনিয়ত আমাকে এবং আমার পরিবারকে মারপিট সহ হত্যার হুমকি প্রদর্শন করছে।
রাজুর বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, দুজনে নোটারী পাবলিকে বিয়ে করলেও মিথ্যা অপহরন মামলায় ছেলে জেল খেটেছেন। তারপরেও তাদের অত্যাচার নির্যাতন শেষ হচ্ছে না। কয়েকদিন আগে আমার ভাতিজা রুহুল আমিন এবং জাহাঙ্গীরকে মারপিট করেছে। এ বিষয়ে রাজিয়ার বাবা রাজ্জাক কসাই জানান, আমার মেয়ে কে রাজু জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। এজন্য অপহরন মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তিনি কাউকে হুমকি দেননি বা মারপিট করেননি বলে জানিয়েছেন।
অপহরন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রাসেল মিয়া জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী
পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবার পর আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।