বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১১:২১ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি হাসান সম্পাদক সামাদ

কলমের বার্তা ডেস্ক:
  • সময় কাল : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড. কেএম হোসেন আলী হাসান ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এ নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সম্মেলনের উদ্বোধক আব্দুর রহমান।

এর আগে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে সংযুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবারও জনগনের ভোটে জয় লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। তবে প্রতিপক্ষকে দূর্বল ভাবা যাবে না, নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, দেশে আর কাঙাল নেই। এখন কেউ না খেয়ে মারা যায় না। কারণ মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এখন গ্রামাঞ্চলে আগের মতো বাসি ভাত পাওয়া যায় না। কেউ মারা গেলে কাঙাল ভোজে লোকই আসে না, বড় লোকরাই আসে। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারিশমা।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি থেকে মানুষ মুখ ফিরে নিয়েছে। সে জন্য বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। কারণ তাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও অগ্নি সন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার দল হচ্ছে বিএনপি। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার নির্দেশে চলন্ত গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ মারার কথা স্বজনহারা পরিবারসহ দেশের মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। এ সময় দপ্তর সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও কার্যনিবার্হী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া। পরে গোলাম কিবরিয়া মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাবিবে মিল্লাত। এরপর দলীয় কন্দলের কারণে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপিকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

তারপর থেকেই নব-নির্বাচিত সভাপতি হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। উক্ত সম্মেলনে সভাপতি পদে পাঁচ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচ জন প্রার্থী ছিলেন।

3
Spread the love

নিউজটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরোও খবর
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি দণ্ডনীয় অপরাধ
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102