গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রতিবেশীর ধর্ষণে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী (২০) পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধীর মামা সফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলার পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাইপাস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার ওই বাক প্রতিবন্ধীর শারিরীক পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাইপাস মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী তার বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েসহ ভাইয়ের বাড়ির পাশে বসবাস করে আসছেন। বাক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর বাবা প্রায় ১৪ বছর আগে মারা গেছে। মা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে রেখে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন। এ সুযোগে প্রতিবেশী মৃত আকবার আলী ওরফে ঝড়ু মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০) বিভিন্ন সময়ে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিছুদিন থেকে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তাকে পৌরশহরের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ৯ জানুয়ারী আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা। এমতাবস্থায় ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মামা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষিতার মামা মো. সফিকুল ইসলাম কলমের বার্তাকে বলেন, ‘ভাগনির শারীরিক গঠনে সন্দেহ হলে গত ৯ জানুয়ারি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায় আমার বাক প্রতিবন্ধী ভাগনি পাঁচ মাসের গর্ভবর্তী। তখন ভাগনির কাছে জানতে চাইলে সে ইশারা ইঙ্গিতে প্রতিবেশী নুরু মিয়া কথা বলেন। পরে ১৫ জানুয়ারি আমি বাদি হয়ে নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মামা বাদি হয়ে শনিবার রাতে একটা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।