সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার পাবনা মহাসড়কের ছালাম খাঁর খড়ির আড়ৎ এর পাশে চা দোকানী চক চৌবিলা গ্রামের আলম ও চরিয়া শিকার আকন্দ পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মন্টুর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে মিনি পতিতালয়। আলম ও মন্টুর অনৈতিক কার্যকলাপে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, আলম কয়েকমাস আগে খড়ির আড়ৎ এর পিছনে চা এর দোকান ভাড়া নেওয়ার পর থেকে পিছনে বাসা বাড়িতে কয়েকজন খারাপ মহিলা ভাড়া দিয়ে চা দোকানের অন্তারালে মন্টুকে সাথে নিয়ে মিনি পতিতালয় গড়ে তুলেছে।
আলমের চাঁ দোকানে সারাক্ষণ ভিড় লেগেই থাকে রাত বাড়লেই বাড়তে থাকে বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষজনের আনাগোনা।
এছাড়াও মোবাইল লুডু দিয়ে জুয়া খেলা তো রয়েছে।
আর সন্ধায় বসে রিতিমত গাঁজা,ও ইয়াবার আসর।
কেউ কিছু বললেই বাড়ি ওয়ালা ইন্জিনিয়ার সালাম কে মামা ও তার মামাতো ভাই এএসপি পরিচয় দিয়ে থামিয়ে দেয়।
এ ছাড়াও পাবনা রোডের কাঁচা বাজারের পিছনে সি এনজি ব্যবসায়ী নাসির নামের একজন সুবর্না নামের হিন্দু মহিলাকে কথিত স্ত্রী পরিচয় দিয়েও দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলমের দোকানে লুডুর আসর বসানো ও বাসার ভিতরেই অপরিচিত লোকজন।
বাসার ভিতরেই পাওয়া যায়, আসমা, নাসরিন সহ বেশ কয়েকজন মহিলাকে।
উল্লেখ্য, গোলকপুর নাজনীনের বাড়িতে অনৈতিক কার্যকলাপের সময় খদ্দের সহ আসমাকে ১ বছর আগে আটক করে র্্যব জামিনে বের হয়ে বাসা পাল্টিয়ে আলম ও মনৃটুর নেতৃত্বে আবারও শুরু করে অনৈতিক কার্যকলাপ।
এ বিষয়ে, আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে আলম জানান, আমি চায়ের দোকানদারি করি বাসা ওয়ালা ইন্জিনিয়ার সালাম আমার মামা তার ছেলে একটি এ এসপি, বাসা ভাড়ার দায়িত্ব আমার আমিই দেখাশোনা করি।
বাসায় ভাড়াটিয়া থাকবেই কি কি করল সেটা বিষয় না।
মন্টুর কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, মন্টু কিছু করে না সাড়াদিন আমার এখানে বসে চাঁ খায়, বসে আড্ডা দেয়।
এসব মন্টু বলতে পারবে আমি কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বিষয়টি শুনেছি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি , খোজ খবর নিয়ে তদন্ত পুর্বক অন্যায় কারীদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবী প্রকাশ্য এমন অনৈতিক কার্যকলাপ চলতে থাকলে এলাকার যুবসম্প্রদায় নস্ট হয়ে যাবে।
এছাড়া আলম ও মন্টু এলাকার সুনাম নস্ট করছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে অদূর ভবিষ্যতে যুব সমাজের মধ্যে চুরি, ছিনতাই, মাদকের ভয়াল রুপ ধারন করবে এবং আইন শৃঙ্খলার চরম আবনতিরও আশংকা করছেন তারা।