শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য  র‍্যালি প্রদর্শন পাঁচ বছরে বাংলাদেশে এসেছেন ২০ লাখ পর্যটক সুপারিশ নয়, যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতে এই পরিবর্তন :ইসি গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খান আজ থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বিদ্যুৎসহ সব কিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে আনসার-ভিডিপি’র বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন প্রেমের টানে নিজ দেশ ছেড়ে এসে ভারতীয় তরুণী বিয়ে করলেন বাংলাদেশী তরুণকে কাজিপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহা আলী আর নেই, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন গাউক এর চেয়ারম্যান হলেন আজমত উল্লা খান  তাড়াশে মেয়র পদে নির্বাচিত হলে পৌর পিতা নয়’ জনগণের সেবক হতে চান শাহিনুর আলম লাবু গোমস্তাপুরে কৃষক পুরুস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বেড়ায় ৩ দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন সলঙ্গায় ফেন্সিডিলসহ যুবক আটক বেতাগীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে এনসিটিএফ সৌজন্যে সাক্ষাৎ দেশে ফিরলেন সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ১২ গৃহকর্মী ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ দেড় হাজার শয্যা সংস্থানে নতুন ১০ তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত

১৬৮ বছরের ইতিহাসে দেশে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন

কলমের বার্তা / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২

২০২১ সালে ছোট-বড় সব বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ এ চা উৎপাদনের খবর বুধবার দিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। গেল বছরে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনে চোখ থাকলেও বছর শেষে ১৬৭টি বাগান এবং ক্ষুদ্রতায়ন অন্যান্য বাগান মিলে মোট ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় চা বোর্ড।

নজির গড়া উৎপাদনের এ পরিমাণ ২০২০ সালের তুলনায় এক কোটি ১১ লাখ কেজি বেশি। এর আগে ২০১৯ সালে ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল, যা ছিল সেসময় পর্যন্ত দেশে চা শিল্পের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ।

চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি কেজি চা উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ, যা ছাপিয়ে ২০১৯ সালে উৎপাদন ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “কোভিড পরিস্থিতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।

“সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

এর আগে গেল অক্টোবরে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ এক কোটি ৪৫ লাখ কেজি চা উৎপাদনের তথ্য জানায় চা বোর্ড।

এরপর বোর্ডের কর্মকর্তারা আশাবাদী ছিলেন, ২০২১ সালে দেশে রেকর্ড চা হবে, যার পরিমাণ ১০ কোটি কেজিও ছুঁতে পারে।

এরপর নভেম্বরে এক কোটি ২ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। সবশেষ ডিসেম্বর মাসে চা উৎপাদিত হয় ৬৯ লাখ ৩২ হাজার কেজি। ২০২০ সালে ডিসেম্বরে ৬৯ লাখ ৬১ হাজার কেজি এবং ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৬৪ লাখ ২৩ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “উত্তরাঞ্চলে চা চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে শুধু সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে ২০২১ সালে রেকর্ড এক কোটি ৪৫ লাখ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে, আগের বছর এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ৩ লাখ কেজি।

দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টিই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে সর্বোচ্চ ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২১টি, পঞ্চগড়ে ৮টি বাগান, রাঙামাটিতে ২টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বাগান আছে।

21
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর