শিরোনামঃ
তিন বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ  বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে যুবকের আত্মহত্যা কুড়িগ্রামে উদ্দীপনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ভূট্টা বোঝাই ট্রাক সহ ড্রাইভার উধাও ১১ দিন পর ঢাকায় আটক জয়পুরের হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ কুড়িগ্রামে কিশোরী ও শিশুদের মাঝে স্যানিটারী ন্যাপকিন ও টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন সামগ্রী  বিতরণ  ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ বেড়ায় একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের বর্ণাঢ্য র‍্যালী অবরোধের সমর্থনে কোনাবাড়ীতে বিএনপির মশাল মিছিল  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে ৬ টি আসনে যাদের মনোনয়ন বৈধ সিরাজগঞ্জে  বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস  উপলক্ষ্যে র‍্যালি  প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পালিত গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা ভাঙ্গুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবরোধে মহাসড়কে ছোট যানবাহনের দাপট  জনতা ব্যাংক পিএলসি.সিরাজগঞ্জ কর্পোরেট শাখার নতুন ভবনের উদ্বোধন ও গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেতাগীতে এইচএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে আলোচনায় অর্পা

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের সম্মাননা দিল ‘নগদ’

কলমের বার্তা / ১০৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের সম্মাননা প্রদান করল ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। পাশাপাশি ‘নগদ’ ও বাংলা ট্রিবিউন যৌথ উদ্যোগে প্রকাশ করেছে “জয় বাংলা” শিরোনামে একটি প্রকাশনা, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে এই ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সাক্ষাৎকার।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানের গ্র্যান্ড বলরুমে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আমন্ত্রিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকেরা।

বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘নগদ’ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ কর্তৃক সম্মাননা প্রাপ্ত ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকেরা হলেন; আ ক ম মোজাম্মেল হক, আনোয়ার হোসেন খান, আফসান চৌধুরী, আবুল বারাক আলভী, ডা. আমজাদ হোসেন, এ এইচ মাহমুদ আলী, এ কে এম আতিকুর রহমান, এম আনোয়ার হোসেন, এম এ হাসান, কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, কাজী সালাউদ্দিন, কামরুল হাসান খান, খালেকুজ্জামান, গোলাম আরিফ টিপু, গোলাম দস্তগীর গাজী, জাকারিয়া পিন্টু, জেড আই খান পান্না, নাসিমুন আরা মিনু, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মফিদুল হক, মহিউদ্দিন আহমদ, মামুনুর রশীদ, মাহবুব উদ্দিন আহমদ, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুনতাসীর মামুন, মোজাম্মেল হক, মোস্তাফা জব্বার, মো. ওবায়দুল্লাহ, ডা. রওনক জাহান, রথীন্দ্রনাথ রায়, রফিকুল আলম, রাইসুল ইসলাম আসাদ, রাশেদ খান মেনন, রোকেয়া কবীর, লুবনা মরিয়ম, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহজাহান সরদার, শাহরিয়ার কবির, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শাহীন সামাদ, সফিক উল্লাহ, সুজেয় শ্যাম, সুলতান মাহমুদ সিমন, সুলতানা কামাল, সেলিনা হোসেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, হারুন উর রশিদ, হারুনুর রশীদ ও হারুন হাবীব।

এই ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার বইটিতে সংকলন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ক্রেস্ট তুলে দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ সময়কার আবহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় যেখানে দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিশেষ আয়োজন ‘চরমপত্র’ পরিবেশন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনাবলী স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না থাকলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না, আর আমিও মন্ত্রী হতে পারতাম না, এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতামনা। বাংলাদেশকে একসময় তলাহীন ঝুড়ির তকমা দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু সেই বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘নগদ’-এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “এক সাগর রক্ত আর কোটি মানুষের অশ্রুতে লেখা আমাদের একাত্তরের দিনগুলি। এটি আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ও। সর্বশ্রেষ্ঠ সময়ে জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানরা দেশমাত্রিকার মর্যাদা রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”

তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটা দেশ দিয়েছেন, নিজস্ব পতাকা আর জাতীয় সংগীত দিয়েছেন। বঞ্চনা আর শোসন – নির্যাতন থেকে মুক্তি দিয়েছেন। আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে এখন আমাদের দায়িত্ব সোনার বাংলা গড়ে দেওয়া। আমার সন্তানের জন্যে হলেও এই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের শপথ।”

54
Spread the love


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর