প্রেম মানেনা কোন বাধা, বোঝেনা কোন জাতি,ধর্ম, বর্ণ গোত্র। এ যেন লাইলী মজনু, শিরী ফরহাদ এর ভালো বাসাকেও হার মানিয়েছে। সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে এক বছর সম্পর্কের পর প্রেমের টানে যুক্তরাষ্ট্রের মিশৌরী স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক রাইয়ান কফম্যান বাংলাদেশে এসেছেন। গত ২৯ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে এসে উঠেন তিনি। গাজীপুরে এসেই বিবাহ বন্ধনে জোটি বাদেন তিনি।
বাংলাদেশী নাগরীরক প্রেমিকা সাইদা ইসলাম (২৬) গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনী ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে ।
প্রেমিক মার্কিন যুবক রাইয়ান কফম্যান (৩৭) যুক্তরাষ্ট্রের মিশৌরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির বাসিন্দা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিজ এলাকায় একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। পড়াশোনা করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন।
প্রেমের বিষয়ে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে ফেসবুকে প্রথম পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। পরে নিজেদের আলাপ চারিতায় ফোন নাম্বার ও এড্রেস বিনিময় হয়। এরপর দু’জনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগে মাঝে মধ্যেই ভিডিও কলে কথা বলা হতো। এতে দুজনের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠতা বারে। এক সময় ভালোবাসা হয়। এক বছরে প্রেমের গভিরতার পর দু’জনে সিদ্ধান্ত নেই বিয়ে করার।
রাইয়ান বিয়ে করার জন্য তার দেশেই খৃষ্ট ধর্ম ত্যাগ করে যথানিয়মে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। পরে তার ও সাইদার পরিবারের সম্মতিতে এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে পৌঁছান তিনি। এদিনই দুইজনের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়। এয়ারপোর্ট থেকে রাইয়ান, সাইদার সঙ্গে গাজীপুরে নানা বাড়িতে আসেন। পরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ০১ জুন বুধবার বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
রাইয়ান এখন গাজীপুরে মোশারফ মাস্টারের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে আসার আগেই বিয়ের গহনা ও কাপড়-চোপড়সহ মোবাইল ফোন কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাগরীক রাইয়ান প্রেমিকা সাইদার কাছে টাকা পাঠান। পরে রাইয়ান বাংলাদেশে আসার আগেই ওই টাকা দিয়ে বিয়ের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করেন সাইদা।
অপরদিকে, সুদূর আমেরিকা থেকে সুদর্শন ও ৬ফুট উচ্চতার এ যুবক গাজীপুর এসে স্থানীয় এক তরুণীকে বিয়ের খবরে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমান।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরীর রাইয়ান বলেন, বাঙালিরা খুবই অতিথিপরায়ণ। আমেরিকায় অচেনাদের সঙ্গে কেউ খুব একটা কথা বলে না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি, আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।