রাজধানীর উত্তরায় সাংবাদিক নুরুল আমিন হাসানের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সাংবাদিক হাসান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন খালপাড় এলাকার রূপায়ন সিটির বিপরীত পাশে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই দফায় এ হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নুরুল আমিন হাসান বর্তমানে সারা দেশের স্থানীয় দৈনিক 'আজকের পত্রিকা'য় কর্মরত রয়েছে। এছাড়াও হাসান পূর্বে বাংলা নিউজ ২৪, বাংলা মেইল ২৪, যমুনা নিউজ ২৪, আমাদের সময় ডটকম, আমাদের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন পত্রিকাকে সুমানের সঙ্গে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করে আসছে।
হামলার পরপরই উত্তরায় বসবাসরত সাংবাদিকরা হাসানকে সেখান থেকে উদ্ধার করে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আসান উল্লাহ্ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, উত্তরা প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রকৃত সংবাদকর্মীদের সেখানে মেম্বার করার জন্য সব সময় অনড় ছিল নুরুল আমিন হাসান। কিন্তু প্রেস ক্লাবের একটি কুচক্রী মহল পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারীদের মেম্বার করে। যা নিয়েও প্রতিবাদ করে হাসান। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার (৯ নভেম্বর) উত্তরা প্রেসক্লাব নামের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে তুরাগে মিরাজ শিকদার ও দক্ষিণখানের তাসলিমা তমা হাসানকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য জিজ্ঞাসা করে। এ বিষয়ে হাসান মেসেঞ্জারে ফোন করে তাসলিমাকে জিজ্ঞাসা করে। তখন তাসলিমা সাংবাদিক হাসানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং পেটানোর হুমকি ধমকি দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সাংবাদিক হাসান উত্তরার খালপাড়ের 'উত্তরা প্রেস ক্লাব' প্রাঙ্গণে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় কথিত সাংবাদিক নামধারী দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক নুরুল আমিন হাসান বলেন, 'উত্তরা প্রেস ক্লাবের প্রাঙ্গণে যাওয়ার পরই পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখতে পাই। তখন বার বার আমি চলে আসার চেষ্টা করি। কিন্ত তাসলিমা তমা ও মিরাজ শিকদারসহ ওদের সহযোগীরা বার বার বাধা দেয়। এক পর্যয়ে আমার উপর প্রথমে তুরাগের মিরাজ শিকদার ও দলিপাড়ার রাসেল খান হামলা চালায়। তখন আমি প্রেস ক্লাবে ঢুকে আশ্রয় চাই। সেই সাথে আমাকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-পুলিশের কাছে সহযোগীতা চাই। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই ক্লাবের ভেতরে ঢুকে দ্বিতীয় দফায় প্রথমে তাসলিমা তমা সহযোগীদের আমার উপর আবার হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বিডিআর রবিউল ইসলাম রাজু আমাকে ধরে মাথা নিয়ে করে রাখে এবং পিছন থেকে কয়েকজন এলোপাথাড়ি মারধর করে।'
হাসান আরো বলেন, 'উত্তরা প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত ব্যতিত এক সিদ্ধান্তে কিছু ভুঁইফোড়া এবং সাংবাদিক নামধারী মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজদের নতুন সদস্য করা হয়। যার কারণে প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গ্রুপ বেধে আমার উপর হামলা চালানো হয়।'
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, সাংবাদিক হাসান কে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।