শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

ঐতিহাসিক চুক্তিতে কৃষি গবেষণা ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে লুমিনাস গ্রুপ ও পজিটিভ বায়োটেক

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রসারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো। লুমিনাস গ্রুপ লিমিটেড এবং পজিটিভ বায়োটেক লিমিটেড-এর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে, যা দেশের কৃষি ও জৈব-প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

​ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আজ (২৬ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এই বর্ণাঢ্য আয়োজন। বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও শিল্পপতিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন লুমিনাস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাকিব হোসেন এবং পজিটিভ বায়োটেক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ. কে. এম. ফাইজুর রহমান।​চুক্তি স্বাক্ষর শেষে লুমিনাস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাকিব হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন,পজিটিভ বায়োটেক-এর সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা সম্মিলিতভাবে এমন প্রযুক্তি ও গবেষণা নিয়ে কাজ করব যা কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে এবং পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখবে।​অন্যদিকে, পজিটিভ বায়োটেক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ. কে. এম. ফাইজুর রহমান বলেন,এই সমঝোতা স্মারক জৈব-প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত বীজ, রোগ প্রতিরোধী প্রাণিসম্পদ এবং কার্যকর পরিবেশবান্ধব সমাধান উদ্ভাবনে আমাদের গবেষণাকে আরও গতিশীল করবে। লুমিনাস গ্রুপের সহযোগীতা এই লক্ষ্য অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে লুমিনাস গ্রুপ এবং পজিটিভ বায়োটেক লিমিটেড নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে প্রধানত মনযোগ দিবে কৃষি গবেষণা,উন্নত জাতের শস্য উদ্ভাবন, জৈব সার ও বালাইনাশকের উন্নয়ন এবং আধুনিক কৃষিপদ্ধতির প্রচার।

 

প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন,গবাদি পশুর উন্নত প্রজনন প্রযুক্তি, রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন।পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর জৈব-প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান এবং পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির ব্যবহার।

 

​এই অংশীদারিত্ব দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে এবং বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কৃষি ও জৈব-প্রযুক্তির মানচিত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর