গোলাম কিবরিয়া খান স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়ন সীমানায় যমুনা নদীতে স্থাপিত অবৈধ গুল্লি জাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্টতার দায়ে জাল অপসারণ, মালিককে ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ জরিমানা আদায়সহ ৫০ মিটার জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়েছে।
অবৈধ গুল্লি জাল স্থাপনকারী চক্রের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) শানজিদা মুস্তারী। কাজিপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়ন সীমানায় সিংড়াবাড়ী থেকে খুদবান্দি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুকনো মৌসুমে যমুনা নদীর কোল-কাছারে প্রাকৃতিকভাবে মাছের অভয়াশ্রম সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৫ দিন যাবত প্রশাসনের অলক্ষ্যে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য খুদবান্ধি গ্ৰামের শামীমের নেতৃত্বে কাজিপুর উপজেলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র এবং জাল মালিক বল্টু রাম হালদার অবৈধ গুল্লি জাল বসিয়ে, কোল কাছারের এপার ওপার বন্ধ করে প্রতি রাতে ৫০ মনের অধিক বড় মাছ শিকার করে আসছিলো।
বিষয়টি গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর বিকেলে কাজিপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শানজিদা মুস্তারী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় জাল মালিক বল্টু রাম হালদারকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পেয়ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ আইনে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, অবৈধ গুল্লি জাল অপসারণ ও ৫০ মিটার জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়। প্রতি বছর যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গুল্লি জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল। এতে করে মৎস্য ভান্ডার খ্যাত যমুনা নদীর মা মাছ নিধন হয়ে আসছে। মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় স্থানীয় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।