গোলাম কিবরিয়া খান স্টাফ রিপোর্টার: গবাদিপশু লালন পালনে উদ্বৃত্ত সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলায় এ বছরও কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে যা চাহিদার চাইতে দিগুনের বেশি। নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই বেচাকেনায় জেতার প্রত্যাশা করলেও মধু যায় মধ্যসত্তভোগীর পেটে। প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাট কতৃপক্ষ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় মোট সুস্থ্য সবল এবং কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫৯৫৮৫ টি পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ১০৪৮০ টি, বলদ ৪৮০০, গাভী ৪২৫০সহ মোট গরুর সংখ্যা ১৮৫৩০টি। এ ছাড়াও মহিষ ১২৫০ টি, ছাগল ৩৪৭৯৫ টি এবং ভেড়া রয়েছে ৫০১০ টি। বিপরীতে উপজেলায় কোরবানির জন্য ২৫৪১০ টি সুস্থ্য সবল পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার চাইতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৪১৭৫ টি কোরবানির পশু।
সরেজমিনে, গত ১০ জুন রোববার দুপুরে কাজিপুর পৌরসভা গরুর হাটে প্রচুর গরু ছাগলের সমাহার দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
কোরবানির আগে এলাকায় আরো একাধিক বড় হাট রয়েছে, ফলে সবাই বাজার যাচাই করছে, বেচাকেনা কম। পাটাগ্ৰামের সচেতন বিক্রেতা সাজেদুল জানান, পাইকারের সংখ্যা বেশি তারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে না, কৃষক প্রকৃত মূল্য পাবে না। গরু কিনতে আসা ফারুক জানান পাইকারেরা সব গরুর উঁচু দামে দর করে রেখেছে, এখন গরু মালিকেরা দাম কমাতে চান না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, উপজেলায় উৎপাদিত গবাদিপশুর মধ্যে থেকে কোরবানির জন্য সুস্থ্য সবল পশুর সংখ্যা গণনা করা হয়েছে। কাজিপুর পৌরসভা মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার বলেন, ক্রেতা বিক্রেতা এবং পশুর উপস্থিতি বেশ ভালো, বেচাকেনা কম হলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়বে আশা করি। এলাকায় নাটুয়ারপাড়া, সোনামুখী, রতনকান্দি হাট রয়েছে কোরবানির আগে, হাট কতৃপক্ষের প্রতিনিধিরা জানান, জমজমাট হাটের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এই হাটগুলোর কোরবানির পশু বেচাকেনায় সুখ্যাতি রয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।