কৃষি পণ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত কাজিপুরে একটাই ঘাটতি ছিল তৈল বীজ উৎপাদন। ঘাটতি পূরণে ধারাবাহিক পদক্ষেপ থাকলেও এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সরিষা চাষে। চলতি রবি/২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারি কৃষি প্রনোদনা উপকারভোগীর মোট ৭৭৭০ জন কৃষকের মধ্যে ৫৪০০ জন সরিষা চাষি। এতে তৈল এবং মধু উৎপাদন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, শষ্য ভান্ডার খ্যাত কাজিপুর উপজেলার ১২ টি ইউপির মধ্যে ৬ টি যমুনা নদীর চরাঞ্চলে। বন্যার পানি কমার সাথে জমির উপযুক্ততা বুঝে ফসল ফলায় চরাঞ্চলের চাষিরা। বিশেষ করে রবি মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া যমুনা নদীর ছোট বড় শতাধিক চরের সাদা বালু ফসলের সমাহারে ঢাকা পড়ে। লাল মরিচ, ভুট্টা, ধান, মসলা জাতীয় শষ্য ব্যাপকভাবে চাষের প্রচলন রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, কৃষি বৈচিত্র্যময় কাজিপুরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২২৫ হে. জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়, প্রণোদনা পায় ৫৭০ জন চাষি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৮৫০ হে. জমিতে লক্ষমাত্রা অর্জনে ৮৯০ জনকে প্রণোদনা দেয়া হয়, এবছর সর্বোচ্চ সরিষা: ৫০০০ হে. জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, এবং ৫৪০০ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত সময়ে তৈল বীজ এবং মধু উৎপাদনকারী হিসেবে কাজিপুর স্বয়ংসম্পূর্ণতা পাবে।
রবি/২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭৭৭০ জনের মধ্যে প্রণোদনার আওতায় বীজ এবং সার বিতরণ করা হবে।
এর মধ্যে সরিষা পাবে ৫৪০০ জন, ভুট্টা ১৩৯০, গম ৩১০, চিনা বাদাম ৪০০, শীতকালীন পেঁয়াজ ৩০, মসুর ১২০, খেসারি ১১০ এবং অরহর বীজ ১০ জন পাবে। গত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রণোদনা বিতরণ উদ্বোধন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সাবরিন আক্তার। এ সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং প্রণোদনা গ্ৰহীতারা উপস্থিত ছিলেন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।