সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগীরা ই-প্রতারণার কবলে পড়েছে। মোবাইল একাউন্ট থেকে নিমেষেই উধাও হয়ে যাচ্ছে ভাতার টাকা। প্রতিদিন এ ধরনের অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কতৃপক্ষ।
গত ১১ জুন কাজিপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিতে আসা চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতকয়া গ্ৰামের ভুক্তভোগী গাজি রহমান (৬৩) জানান, গতকাল ১০/৬/২০২৩ ইং তারিখে ০৯৬৩৮৩৪৯৯৮৬ নাম্বার থেকে কল করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচয় দিয়ে ভাতার খোঁজ খবর নেয় এবং মেসেজে একটি কোড পাঠায়, একটু পরে কল করে কোড জানতে চায়, কোড বলার কিছুক্ষণের মধ্যে একাউন্ট শূণ্য হয়ে যায়। অভিযোগ দিতে আসা
মাইজবাড়ি গ্ৰামের প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগী জাহেরা খাতুন, সদর ইউপির
সিংরাবাড়ী গ্ৰামের বিধবা ভাতা উপকারভোগী আন্না রাণীসহ ১০/১২ জন ভাতা উপকারভোগীদের বক্তব্য একই রকম। সমাজ সচেতন প্রভাষক রোকনুজ্জামান রাসেল বলেন, ভাতা সুবিধা যারা পায় তাদের অধিকাংশই অসহায়, নিরক্ষর ও অসচেতন, অনেকেই মোবাইল ফোন অপারেট করতে পারে না, আশপাশের মানুষের সাহায্য নেয়, ক্যাশ আউট করতে গেলে তারা কিছু না বুঝে পিন নাম্বার দিয়ে দেয়, সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিদিন এধরনের অভিযোগ আমরা পাচ্ছি, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কখনো ফোন করে পিন বা ওটিপি জানতে চায়না, এটা একটি হ্যাকার চক্রের কারসাজি, সাধারণত ভাতা প্রদানের দু এক দিনের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, উপকারভোগীরা যেনো কাউকে পিন/ওটিপি না দেয় তার জন্য প্রচারণা শুরু করেছি। যারা ইতোমধ্যে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন তারা যেনো অতি দ্রুত নগদ পিন নাম্বার পরিবর্তন করে নেয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। প্রসঙ্গত, কাজিপুর উপজেলায় বয়স্ক ১৫২৩৭ জন, বিধবা ৭৭৭০ জন এবং ৪৮৮৪ জন প্রতিবন্ধীসহ মোট ২৭৮৯১ জন সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতা সুবিধা পেয়ে আসছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।