প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ২০, ২০২৫, ১০:৫৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০২৩, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
কিছু অসাধু বা কুচক্রীমহল কারখানা ভাংচুর ও পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে-র্যাব

র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেপ্টেনেন্ট কর্ণেল মো. মোশতাক আহমেদ বলেন, কারখানায় হামলা ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে একটি কুচক্রীমহল জড়িত। এখানে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় কারখানায় ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় ২৭ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১ সদস্যরা।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেপ্টেনেন্ট কর্ণেল মো. মোশতাক আহমেদ বলেন, আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু কুচক্রীমহল শ্রমিকদের সাথে মিশে পরিস্থিতি খরাপ করার চেষ্টা করছে। এজন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পরিবেশ শান্ত রাখতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও কাজ করছে। কিছু অসাধু বা কুচক্রীমহল কারখানা ভাংচুর ও পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে। গার্মেন্টস শিল্প আমাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যাতে কেউ অশান্ত করতে না পারে তার জন্য র্যাব-১ ও বিজিবি একসাথে কাজ করছে। আমরা শ্রমিকদেরকেউ কাজে ফেরানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
আন্দোলন সাথে বিএনপি ও বিরোধীদলের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই এলাকায় লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে। যেহেতু বেতন ৮ থেকে ১২ হাজার ৫০০ করা হয়েছে তাই তাই আমরা বিশ্বাস করি শ্রমিকরা শান্ত থাকবে। আমরা এটাও বিশ্বাস করি শান্তিপ্রিয় শ্রমিকরা রাস্তাঘাট অবরোধ, সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করতে পারে বলে আমাদের মনে হয় না। আমরা বিশ্বাস করি এর সঙ্গে একটি কুচক্রীমহল জড়িত। এটাতে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, কোনাবাড়ি এলাকা থেকে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এখানে ইটপাটকেলের আঘাতে অনেকেই আহত হয়েছে। আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বেতন বাড়ানের দাবিতে গাজীপুরে গত ১৮ দিন ধরে বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। এরমধ্যে বেতন বাড়ানো হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তবে এই আন্দোলনে বিভিন্ন গুজবের মুখে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে গ্রেপ্তার ও মারধোরের গুজবে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠে শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে হঠাৎ তুষুকা কারখানার ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশ র্যাব ও বিজিবির সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপরে কিছু শ্রমিক ভেতরে অবস্থান করে কারখানার মধ্যে ব্যাপক ভাংচুর করে। বাকি শ্রমিকরা বাহিরে অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এরপরেও ভেতরে থাকা শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে কারখানার মূল ফটক আটকিয়ে দেয়। এঘটনায় অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মোহাম্মদ সামসুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে আপনারা দেখেন আমরাও দেখেছি। শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বেশকিছু যানবাহন ভাংচুর করেছে। এবং কারখানার ভিতরেও ব্যাপক ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা যৌথ ভাবে কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
Copyright © 2025 কলমের বার্তা. All rights reserved.