গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গার্মেন্টসকর্মী নাজমুল
কে (২১) মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বড়বালা গ্রামের আকমল মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার বেড়াডাকুরী গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে কাউসার আহমেদ (১৯),জরুন কোনাবাড়ী এলাকার ওহিদ পালোয়ানের ছেলে মুসাব্বির হোসেন মুসা পালোয়ান (১৯) এবং একই এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে সানি হাওলাদার (২০)।
জিএমপি কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর বোন তানজিনা আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে
গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগী কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন এলাকায় বসবাস করিয়া স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে তাদের সাথে চলাফেরা করিতো। গত ৭ সেপ্টেম্বর তাদের কোন একবিষয়
নিয়ে সাথে কথা-কাটাকাটি হয়।পরে তারা ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর একটা সময় ভুক্তভোগীকে বাসা থেকে ডেকে কেয়া কসমেটিক্স এর উত্তর পাশের বাগানের ভিতর নিয়ে যায়।
বিবাদীগন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এবং সাথে থাকা নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হত্যার হুমকি দিয়ে তাঁরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে প্রথমে উদ্ধার করে কোনাবাড়ী ক্লিনিকে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে মূমুর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, তাদেরকে ভোরে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।