জলমহাল নীতিমালা লঙ্ঘন করে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের হাট গ্রাম মৌজার রুহুল বিলের জলমহল ইজারা পাইয়ে দিতে কারসাজি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে মধুরগাতি পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন গত ২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের হাট গ্রামে মৌজায় অবস্থিত রুহুল বিল জলমহাল। এর আয়তন ৭৯ একর ৯৬ শতক। দীর্ঘদিন ধরে জলমহালটি দক্ষিণ পাটুলী পাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু এ বছরের ৯ নভেম্বর জলমহাল নীতিমালা লঙ্ঘন করে দক্ষিণ পাটুলী পাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে জলমহালটি ইজারা নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
মধুরগাতি পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা প্রকৃত মৎসজীবি এবং উক্ত জলমহলের নিকটবর্তী। ২০০৯ সালের জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে জলমহালের নিকটবর্তী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দক্ষিণ পাটুলী পাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আবেদন কিছু ভূয়া তথ্য সংযোজন করেছেন এর মধ্যে রয়েছে আবেদনে প্রকৃত মৎসজীবি উল্লেখ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করার বিধান থাকলেও উক্ত সমিতির সদস্যগণ প্রকৃত মৎসজীবি মর্মে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়নি ,প্রত্যয়নে ০১ হতে ২৩ পর্যন্ত ক্রমিকে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ জেলে নিবন্ধন পরিচয়পত্র প্রদান কমিটির সুপারিশে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত মৎস্যজীবী ঔ প্রত্যয়নে কোন সমবায় সমিতির নাম উল্লেখ নাই। ২৩ জেলের কার্ড দেখানো হয়েছে এর মধ্যে ৫ জনের তালিকায় নামই নাই,বাকি ৬,৭,১৪,২০, ও ৩৭ নং সদস্যগণ দক্ষিণ পাটুলী পাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবীর সদস্যই নয়।অডিট রিপোর্টে মৎস্য প্রত্যয়নপত্রে ১০ ও ৩২ নং একই ব্যক্তি,১০ নং ব্যক্তিকে কার্ডধারী দেখানো হয়েছে এবং ৩২ নং একই ব্যক্তিইকে মৃত দেখানো হয়েছে, উক্ত সমিতির কার্যবিবরনীতে ব্যবস্হাপনা কমিটির সদস্য মোঃ ইসমাইল হোসেন মৃত হলেও কার্যবিবরনীতে জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে , সমিতির ২০২২-২০২৩ অডিট রিপোর্টে ৩৭ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন সদস্য মৃত হলেও তাদের সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি,ভূলে ভরা আবেদন প্রমান করার পড়েও দক্ষিণ পাটুলী পাড়া গ্রাম্য মৎস্যজীবী সমিতিকে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চলছে কারসাজি।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান বলেন তদন্ত চলমান এখন কিছু বলতে পারছি না।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।