গতকাল ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১১ টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে “কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও রোগের সমাধান” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশ বরেণ্য কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ লুৎফর রহমান।
আলোচনা সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “বর্তমানে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বা অসংক্রামক রোগের হার বেড়ে চলছে। আর এরকম রোগের তালিকায় প্রথমে আছে হৃদরোগ। তিনি বলেন, “সচেতনতার অভাব, স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা, জন্মগত কারণ ও বংশানুক্রমিক হৃদরোগের হার বেড়েই চলছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে হৃদরোগজনিত রোগী ও মৃত্যু হার আশঙ্কাজনক। তবে দেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকায় রোগীরা কম বহির্মুখী হচ্ছে।”
আলোচনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ লুৎফর রহমান হৃদরোগের বিভিন্ন কারণসহ নানাবিধ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে হৃদরোগজনিত নানাবিধ ঝুঁকিসমূহ এবং তার প্রতিকার নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ডাঃ লুৎফর রহমান বলেন, “কর্মক্ষম জীবন, নিয়মিত হাটা এবং খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি ও মৃত্যু কমানো সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতেই অনেক স্বনামধন্য ও সুদক্ষ হৃদরোগ চিকিৎসক ও সার্জন রয়েছেন। তাই এদেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের হৃদরোগ চিকিৎসা সম্ভব।”
এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত), রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।