অফিসে বসেই প্রকাশ্যে ধুমপান করেন লালমনিরহাট জেলা রেজিস্টার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ। তার এক হাতে সিগারেট অপরহাতে ফাইল সহি করেন।
জানা গেছে, সরকারী বিধি অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধুমপান আইনত দ্বন্ডনীয় অপরাধ। জরিমানার বিধান রাখা হয়। ধুমপান কমাতে ২০০৫ সালে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার রোধকল্পে পাবলিক প্লেসে ধুমপান করলে ৫০ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়। যা পরবর্তিতে ২০১৩ সালে জরিমানার পরিমান বাড়িয়ে ৩শত টাকা করা হয়েছে। এ আইনে ধুমপায়ীদের জন্য সেভজোন করার সুপারীশও করা হয়েছে। সেই থেকে যানবাহন, লোক জনসমাগম স্থল এবং সরকারী বেসরকারী সকল কার্যালয়ে ধুমপান নিষিদ্ধ করা হয়।
সরকার ধুমপান রোধে আইন প্রনায়ন করলেও সরকারী অফিসে বসেই সরকারি কর্মকর্তাদের চলছে আয়েশী ধুমপান বা সুখটান। লালমনিরহাট জেলা রেজিস্টার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ নিজ কার্যালয়ে বসেই একের পর এক সিগারেট টানেন। তার এক হাতে সিগারেট অন্যহাতে সহি করেন সেবা গ্রহীতাদের ফাইল। মুলত অফিসের বড় কর্মকর্তা হিসেবে বীরদর্পে অফিসে বসেই ধুমপান করেন তিনি। অফিসে বসে ধুমপান করার একটি ভিডিও এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ধুমপানের দুর্গন্ধে তার কক্ষে অনেকেই প্রবেশ করতে চান না। সিগারেটের দুর্গন্ধে নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া কেউ তার কক্ষে প্রবেশ করেন না বলে সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন নীকাহ রেজিস্টার বলেন, আমাদের ভলিয়ম বহি সহ বিভিন্ন কাজে প্রায় জেলা রেজিস্টারের কক্ষে যেতে হয়। সেই অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান আমাদের জেলা রেজিস্টার। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর হয়। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেন তিনি সবার সামনেই ধুমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস।
জেলা নিকাহ রেজিস্টার সমিতির সভাপতি কাজী মওলনা আমজাদ হোসেন বলেন, স্যারকে সিগারেট খেতে দেখিনি। তবে তার কক্ষটিতে প্রচুর সিগারেটের দুর্গন্ধ। আমরা মওলনা মানুষ, সাধারন লোকজনও আমাদের দেখে সিগারেট সেভ করেন। যখন রেজিস্টার স্যারের কক্ষে যাই তখন রুমে এয়ার ফ্রেসনার স্প্রে করেন। তবুও দুর্গন্ধ বুঝা যায়।
লালমনিরহাট জেলা রেজিস্টার খালিদ মোহাম্মদ বিন আসাদ বলেন, দুপুরের খাবারের পরে সিগারেট খেয়েছি। তখন হয়তো কেউ ভিডিও করেছে। অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধুমপান অপরাধ কি না? -এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দেন নি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।