গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির নাম ও লেটারহেডে সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়, যেখানে স্থানীয় নেতা খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
খোকন মিয়া টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের দাঁড়াইল ইউনিট বিএনপির সাবেক স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক।
বিজ্ঞপ্তিতে থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. বশির উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম এবং সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান নূরের নাম ও স্বাক্ষর দেখা গেছে। তবে এই বিজ্ঞপ্তিকে “ভুয়া” বলে দাবি করেছেন আহ্বায়ক মো. বশির উদ্দিন,যিনি বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
তিনি মুঠোফোনে জানান,এই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র, যা একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বশির উদ্দিন ও খোকন মিয়ার একটি কথোপকথনের কল রেকর্ড। সেখানে খোকন জানতে চান, “ভাই, এটা কী হলো?” উত্তরে বশির বলেন, “আমি তো সিঙ্গাপুরে আছি, কিছুই জানি না। আসাদের সঙ্গে কথা বলো।” খোকন অনুরোধ করেন, “ভাই, এই বিষয়ে আপনি ফেসবুকে কিছু লিখেন।” জবাবে বশির বলেন, “সবাই বুঝে গেছে এটি ভুয়া। ফেসবুকে কিছু লেখার দরকার নেই।”
এই প্রসঙ্গে খোকন মিয়া বলেন,আমাদের আহ্বায়ক বশির উদ্দিন ভাই নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কৌশল নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,একটি কুচক্রিমহল সব সময়ই নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমার ছবি এডিট করে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে অপপ্রচার চালায়। এছাড়াও, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দৃষ্টিহীনতায় ভুগছি। তবু আমাকে বিভিন্ন মামলার আসামি বানানো হয়েছে। আমি প্রধান উপদেষ্টা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে বিচার চাই। এই কুচক্রী মহলের হাত থেকে মুক্তি চাই।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী এ ঘটনায় বিভ্রান্তির কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বিষয়টির দ্রুত তদন্ত করে দলের ভেতরে সৃষ্ট অস্থিরতা নিরসনে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।