টঙ্গী-জয়দেবপুর ১১ কিলোমিটার রেলপথে ডাবল লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় গণভবন ও ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী জয়দেবপুর ডাবল লাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। কিছুক্ষণের মধ্যে জয়দেবপুর রেলস্টেশন এলাকার নতুন নির্মিত ডাবল লাইন ধরে একটি ট্রেন টঙ্গীর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনসেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও চারটি স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১১'শ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। কিন্তু এই দুই সেকশনের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে একটি ডুয়েলগেজ লাইন চালু রয়েছে। এ কারণে টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বেশি সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। তাই ঢাকা থেকে আরও ট্রেন চলাচল বাড়ানো, ভ্রমণের সময় সাশ্রয়, যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইনের প্রকল্প পরিচালক নাজনিন আরা কেয়া বলেন, টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইন ট্রেন চালুর ফলে প্রায় সকল ট্রেনের যাত্রাসময় গড়ে ১৫-২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হবে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে জয়দেবপুর রেল জংশনের পশ্চিম পাশে খোলা জায়গায় সামিয়ানা টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয়, রেল সচিব মো: হুমায়ুন কবীর , বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: কামরুল আহসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।