ঠাকুরগাঁওয়ে রমজানে লেবুর চাহিদা বাড়ে ইফতারিতে শরবতের জন্য। অথচ শরবতের দুই উপাদান চিনি ও লেবুর দাম এখন নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি চিনি এখন ১৪৫ টাকা। আকার ভেদে কয়েকদিন আগেও লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ২০-৩০ টাকায়। রমজান মাসের শুরু হতে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা হালি। ফলে স্বল্প আয়ের অধিকাংশ মানুষকেই ইফতারির তালিকা থেকে শরবতকে বাইরে রাখতে হচ্ছে।
এ দিকে শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দামও বেড়ে গেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম আকার ভেদে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে কালিবাড়ি বাজারে ক্রেতা জুলফিকার আলী বলেন,কিছুদিন আগেও যে লেবুর দাম হালিতে ২০ টাকা ছিলো সেটি বর্তমান ৫০ থেকে ৬০ টাকার উপরে। প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এবারে রমজানে যদি পণ্যের দাম বাড়ে তাহলে আমরা কি করবো।
আব্দুল গণি নামের আরেক ক্রেতা বলেন,অন্য দেশে দেখি রমজানে পণ্যের দাম কমে,কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। রমজানে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে বলার বাহিরে। গোস্তের কেজি ১ হাজার টাকা। গরীবরা কি করবো আমরা। আজকাল ১/২ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলে কিছু কেনাই হয়না।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,রমজানে যাতে কারো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে আমাদের মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার পরিদর্শন করছেন। যদি কোন বিক্রেতা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।