দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় মনে করছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় পাওয়া সম্ভব হবে। দলের বিভেদ মেটাতে না পারলে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য দলের বিশেষ বর্ধিত সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করবেন। কোন্দল মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ না করলে ক্ষমতায় আসা কঠিন হবে, সেটিও বলবেন। দল ক্ষমতায় না এলে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, তাও মনে করিয়ে দেবেন। বিএনপি-জামায়াতের আমলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যে সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন, তা স্মরণ করিয়ে দেবেন শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্র জানায়, বর্ধিত সভায় আট বিভাগের প্রতিটির একাধিক জেলা ও মহানগরের নেতাদের বক্তব্য শুনবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এবারও তিনি নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের ডেকেছেন। সেখানে নির্বাচন, দলের ঐক্য, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিসহ সার্বিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
যান চলাচলে মহানগর পুলিশের নির্দেশনা
বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী গণভবনে আমন্ত্রিত নেতাদের বিজয় সরণি দিয়ে জাতীয় সংসদের লেক রোড হয়ে গণভবনের ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। সভায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি রাখার নির্ধারিত স্থান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রসংলগ্ন মাঠ। সেখানে সবার গাড়ি পার্কিং করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই নির্দেশনা মেনে চলতে এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।