• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় বেড়ায় তীব্র গরমে পথচারীদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেবা প্রদান বারিতে সার্ক অঞ্চলে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার টেকনোলজিস বিষয়ক সমাপনী কর্মশালা ছোনগাছা ইউনিয়নের পাটচাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পাটবীজ ও সার বিতরণ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে শতাধিক ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটক সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কাতারের আমিরের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের মে দিবসের প্রস্তুতি সভা লালমনিরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ রায়গঞ্জে শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল অ্যাকশন সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ

পদ্মা সেতুতে তিন বিশ্বরেকর্ড

কলমের বার্তা / ২২৫ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু দেশের দীর্ঘতম সেতু। পানিপ্রবাহের দিক থেকে অ্যামাজনের পর পদ্মা নদীই বিশ্বে বৃহত্তম। প্রমত্তা পদ্মায় সেতু তৈরিতে তিন-তিনটি বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। কারিগরি ও প্রাকৃতিক বাধা জয় করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক নয়, সেতুটি অভূতপূর্ব।

পদ্মা সেতুতে পিলারের (খুঁটি) সংখ্যা ৪২। দুটি পিলার নদীর দুই তীরে। বাকি ৪০টি নদীর পানিতে। পিলার নির্মাণে ৯৮ থেকে ১২২ মিটার গভীর পাইলিং করা হয়েছে, যা বিশ্বরেকর্ড। কোনো সেতু নির্মাণে এত গভীর পাইলিং করতে হয়নি। পদ্মা সেতুর পাইলগুলো তিন মিটার ব্যাসার্ধের। অন্য কোনো সেতুর পাইলের ব্যাসার্ধও এত নয়। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পাইল ৫০ মিলিমিটার পুরু স্টিলের পাইপে মোড়া। হাইড্রোলিক হ্যামারের মাধ্যমে পিটিয়ে পাইল পাইপগুলো নদীতে পোঁতা হয়েছে। বিশ্বে কোনো সেতু নির্মাণে এত গভীরে স্টিল পাইপ পুঁততে হয়নি।

সেতুর দুই তীরে পিলারে পাইলের সংখ্যা ১২টি করে। নদীতে ৪০টি পিলার নির্মাণে প্রতিটিতে ছয়টি করে পাইল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ১০০ মিটার গভীরেও পাথরের স্তর না পাওয়ায় ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৫ নম্বর পিলারে একটি করে বাড়তি পাইল করতে হয়েছে। ফলে পদ্মা সেতুর জন্য সব মিলিয়ে ২৮০টি পাইল করতে হয়েছে।

পদ্মা সেতু আরেক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বিয়ারিংয়ের ক্ষমতায়। পিলার ও সেতুর নিচের অংশের (লোয়ার ডেক) পাটাতনের মাঝে রয়েছে ১০ হাজার টনের ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’। এত শক্তিশালী বিয়ারিং পৃথিবীর আর কোনো সেতুতে নেই। বিয়ারিংয়ের সক্ষমতার কারণে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকবে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু নির্মাণে নদীর দুই তীরে ১৪ কিলোমিটার তীর বাঁধানো হয়েছে। প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে নদীশাসনে। এত বেশি ব্যয় আর কোনো সেতু তৈরির নদীশাসনে করতে হয়নি। নদীশাসনে ১ কোটি ৩৩ লাখ কংক্রিট ব্লক ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে চার কোটি জিও ব্যাগভর্তি বালু ফেলা হয়েছে।

আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২৪ বছর আগে ১৯৯৮ সালে সেতুর পরিকল্পনা করে প্রাক-সমীক্ষা করা হয়। দুই যুগে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব।

100


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর