শিরোনামঃ
গাজীপুরে ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া শিশু নোমান কাজিপুরে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে কাতারের আমির আসছেন সোমবার রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত আরাফাতের নেতৃত্বে থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার উপর হামলা সিরাজগঞ্জ সদরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন অসহায় হাকিম ও আয়শা দম্পতির সহানুভ‚তি নিবাসের উদ্বোধন উল্লাপাড়ায় জামাত নেতার সাথে ছবি ভাইরালের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পদ্মা সেতুর পর আরেক চমক আসছে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল

কলমের বার্তা / ১২৭ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২

বর্তমান সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সমুদ্র তলদেশ দিয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। স্বপ্নের এ টানেল নির্মাণ কাজের আর মাত্র অবশিষ্ট রয়েছে ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি টানেলের উভয়প্রান্তে এ্যাপ্রোচ রোডের কাজও ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর পর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিতব্য টানেলই হবে আরেক চমক।

নির্মাণাধীন টানেলে বর্তমানে উচ্চ ঝুঁকির তিনটি ক্রস প্যাসেজের মধ্যে একটির কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অপর দুটির কাজ এগিয়ে চলেছে। টানেল অভ্যন্তরে ভেন্টিলেশন, কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ অন্যান্য কাজে ৮ শতাধিক মেটেরিয়াল চীনের সাংহাই থেকে আসছে। সাংহাইতে করোনার কারণে গত মার্চ থেকে টানেলের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম আনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর পরও টার্গেট অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ পর্যায়ে টানেল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, টানেল অভ্যন্তরে দুই টিউবের প্রথমটির লেনস্ল্যাব স্থাপন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় টিউবে অনুরূপ লেনস্ল্যাব স্থাপন কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম টিউবে পেভমেন্ট স্থাপন কাজ এগিয়ে চলেছে। এরপর দ্বিতীয় টিউবে অনুরূপ পেভমেন্ট স্থাপন করা হবে।

প্রকল্প দফতর সূত্রে জানা গেছে, টানেলে উপরোক্ত কাজের পাশাপাশি ইলেকট্রোনটিক্যাল কাজের তৎপরতা চলছে। সাংহাই থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অনুষঙ্গ আসতে বিলম্ব হলেও অন্যান্য কাজ এগিয়ে নিয়েছে চীনের কর্মরত প্রায় আড়াইশ’ কর্মী। তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন বাংলাদেশী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মীবাহিনী।

সূত্র জানিয়েছে, এ প্রকল্পে যাবতীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ হয়ে আসছে চীন থেকে। চীনে করোনার ধাক্কা সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে আঘাত করার কারণে টানেলের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হলেও তা বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। টানেলের দুটি টিউব প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বহু আগে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কারিগরি কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু টানেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও চীনের একটি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন্স কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেয়ার ব্যাপারে গত ১৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটারের এ টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের জন্য সিসিসিসিকে নিযুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হারুনুর রশীদ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে জলোচ্ছ্বাসে কোনভাবে টানেল অভ্যন্তরে সমুদ্রের নোনাপানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়টি চউকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। চউক সূত্র জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার একটি রিং রোড নির্মিত হয়েছে, যার সঙ্গে টানেলের সম্পৃক্ততা থাকছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে নির্মিত হয়েছে সিটি আউটার রিং রোড। টানেলের দক্ষিণ প্রান্তেও ঘূর্ণিঝড় বা উচ্চমাত্রার জলোচ্ছ্বাসের পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, টানেলের পুরকৌশল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। শুরু থেকে এ কাজ এগিয়েছে সুষ্ঠুভাবে। টানেল নির্মাণ কাজ শুরুর পর দুই বছরের বেশি সময় করোনার সংক্রমণ থাকলেও এতে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। টানেল নির্মাণ কাজে চীনা এবং বাংলাদেশী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নির্মাণযজ্ঞ এগিয়ে নিয়েছে। যার ফলে সরকার আগামী ডিসেম্বরের শেষদিকে টানেল উদ্বোধনের যে টার্গেট দিয়েছে সে অনুযায়ী সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারিত আছে। মূলত টানেলের খনন কাজের পর দুই টিউবের অভ্যন্তরে একটির সঙ্গে আরেকটির মাঝখানে ক্রসপ্যাসেজ থাকবে তিনটি। এসব ক্রস প্যাসেজ নির্মাণ কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ কাজও এগিয়ে চলেছে সফলতার সঙ্গে। যার কারণে প্রথমটির কাজ ৯০ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, দুই টিউব সংবলিত মূল টানেল হবে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে। এর মধ্যে টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় টিউবের উদ্বোধন করেছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ টানেল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। টানেল নির্মাণে সব সেগমেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে চীনের জিন জিয়াং প্রদেশে।

73


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর