সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি, পিএলসি’ গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব
তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
বর্তমানে পদ্মা সেতুর টোল থেকে যে আয় হয়, তা জমা হয় সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে। কোম্পানি গঠিত হলে সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চলে যাবে সেটির অধীন।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এটি গঠন করা হচ্ছে। বোর্ডে থাকবেন ১৪ জন। তারা জনবল কাঠামো ঠিক করবে। বোর্ডে সেতু, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।
বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ করছে। পাঁচ বছরের জন্য তাদের ৬৯৩ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেতু বিভাগের হয়ে টোল আদায়, দুই প্রান্তে ওজন মাপার যন্ত্র বসানো, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মেরামতের দায়িত্বে আছে।
পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে নাগাদ কোম্পানির অধীন যাবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এ কোম্পানি কাজ করবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বহুমুখী সেতুটি দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।