এস আর শাহ্ আলম স্টাফ রিপোর্টার : পাবনার সুজানগর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে।
আজ রোববার বিকেলে সুজানগর পৌর সদরের মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে। আ. লীগ নেতা ওহাবের বাড়িও মথুরাপুর মহল্লায়।সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, এলাকাবাসী পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা গত জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , আব্দুল ওহাব বাড়ির পাশে মসজিদ থেকে আছরের নামাজ পড়ে বের হন, এ সময় সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন স্থানীয় জনতা ও নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলে। পুলিশ রাজী না হলে গাড়ি থেকে ওহাবকে জোরপূর্বক বের করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে।পুলিশ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে পরে এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে আব্দুল ওহাবকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ সময় ধস্তাধস্তিতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এ বিষয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, সুজানগর উপজেলা আ. লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার সময় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে যাই গ্রেপ্তার শেষে ফেরার সময় এলাকাবাসী প্রথমে বাঁধা দিলে আমরা বিষয়টি তাঁদের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু স্থানীয়রা তা না মেনে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ওসি গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।