জনগণ চাইলে কোন স্বৈরাচার দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনা বলে জানিয়েছেন গাজীপুর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওহাব আইডিয়াল পাবলিক হাই স্কুলস্কুলের বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
"বিগত ১৭ বছর অত্যাচার এবং নির্যাতন করে আপনাদের কাছ থেকে আমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।এছাড়াও কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হতো না। ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপি সহ সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার এবং নির্যাতন চালিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকেননি তারা বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র কাঠামোকে দলীয় তন্ত্রে রূপান্তরিত করেছে এবং ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যবসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল।ইসলাম শিক্ষা বইয়ের মধ্যে হিন্দুদের মূর্তি দিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছিল। ইতিহাস বিকৃতি করে তারা।"
এসময় তিনি বলেন," বিএনপি গণমানুষের দল,মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সব সময় রাষ্ট্রপরিচালনা করেছে। এবারও মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসতে চায়। এজন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। খুনি হাসিনা এখনো দিল্লি থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও বাংলাদেশ অব্যাহত রয়েছে তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। "
বেগম জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাটি জীবন লড়াই করে গেছেন, সেই মানুষটিকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। আর আজ বাংলাদেশের মানুষ ছাত্র- জনতা মিলে শেখ হাসিনার বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহর বিচার এভাবে হয়। আল্লাহর সীমা লংঘনকারীকে পছন্দ করেন না। এছাড়া বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল ফ্যাসিবাদ খুনি হাসিনা। তিনি এখন লন্ডনের চিকিৎসাধীন রয়েছেন সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
"এছাড়া আমার বাবা মরহুম এম এ মান্নান সাহেব কে আপনারা সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছিলেন মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন , তাকেও মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে এই খুনি হাসিনার দোসরা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তিনি মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ মাস ২৮ কারাবন্দী ছিলেন। এই জাঙ্গালিয়া গ্রাম অধ্যাপক এম এ মান্নান সাহেবের প্রিয় একটি গ্রাম ছিল এবং এই এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এইখানে একটি এলাকায় দশ হাজার মানুষ বসবাস করছে যাদেরকে আমি মান্নান সাহেব থাকতে দিয়েছিলেন, তাদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা চলছে এমন কথা শুনতে পেয়েছি। তবে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি তাদের পাশে থাকব। "
এ সময় তিনি আরো বলেন, " হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে বলেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে তবেই আমরা এলাকার উন্নয়ন মূলক কাজগুলো করতে পারব। সুতরাং সেজন্য আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ধানের শীষ কে বিজয় করার জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে।"
"যে সকল শিক্ষার্থী এখানে রয়েছে তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের পেছনে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ছাত্ররা যে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে সেই আন্দোলনে সফল হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুতরাং প্রতিটি আন্দোলনের পিছনে ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।যে সকল ছাত্রছাত্রীরা রয়েছেন তাদেরকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ যে মিথ্যা ইতিহাস ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার ভেতরে ঢুকানোর চেষ্টা করেছে সে ইতিহাস নয়।সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা সেই ইতিহাসকে বিশ্বাস করে নাই। তবে প্রকৃত ইতিহাস ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি তাহলেই তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারবে। "
এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার মধ্যে আগামীতেকিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে আসবেন এবং কি কি উন্নয়ন হবে শিক্ষা ব্যবস্থায় সেগুলো রয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য বিএনপি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে শিক্ষা নিবে। আমরা হাসিনার সেই দিল্লি মার্কা শিক্ষা ব্যবস্থার চাই না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।