খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে নানা ধরনের অসঙ্গতি রোধে বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত প্রবিধানমালা করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। গতকাল সোমবার বিএফএসএর প্রশিক্ষণ কক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য (বিজ্ঞাপন ও দাবি) প্রবিধানমালা, ২০২৪’-এর খসড়া উপস্থাপন ও অংশীজনের মতামত গ্রহণবিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬টি অনুচ্ছেদসংবলিত এ প্রবিধানমালা মোতাবেক কোনো ব্যক্তি খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে অসত্য তথ্য দিলে, বিজ্ঞাপনের ভাষা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করলে, অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করলে কিংবা সমজাতীয় খাদ্যপণ্যকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দাবি করলে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের শর্ত, পুষ্টিসংক্রান্ত দাবির শর্ত,
লবণ অসংযোজন সংক্রান্ত দাবি, সংযোজন দ্রব্যের ব্যবহারসংক্রান্ত তথ্যাবলি, স্বাস্থ্যসহায়ক দাবি, নিষিদ্ধ দাবিসংক্রান্ত বিষয়াবলি, চিনির অসংযোজনসংক্রান্ত দাবি, বিজ্ঞাপনবিষয়ক অভিযোগ নিষ্পত্তিরসংক্রান্ত এবং প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করলে কী কী শাস্তি পাবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এ প্রবিধানমালা লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন প্রচার করলে কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে ওই বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধ করার এখতিয়ারের বিষয়েও বলা হয়েছে প্রবিধিমালায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএর সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্তৃপক্ষের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন বিএফএসএর আইন কর্মকর্তা শেখ মো. ফেরদৌস আরাফাত।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।