প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে সমবেত হতে পারেনি গাজীপুরের কাশিমপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। ফলে
সকাল থেকেই চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিলো। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক ও চক্রবর্তী বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আশেপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ সেনাবাহিনী, বিজিবি, শিল্প পুলিশ ও মেট্রো পুলিশ অবস্থান নেয়। অবশেষে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে মহাসড়কেই নামতে পারেনি কোন শ্রমিক।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২১ টি কারখানা খুলে দেওয়া,ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা,এলসি খুলে দেওয়া এবং অন্যান্য সকল পাওনাদি
পরিশোধ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সকালে শ্রমিকদের সমবেত হওয়ার কথা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে রাস্তায়
নামতে পারেনি তারা। যার কারণে মাইকিং করে আজকের কর্মসূচী স্থগিত করে শ্রমিকরা।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো আবু তালেব বলেন,আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। যাতে করে কোন শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা করতে না পারে।
প্রসঙ্গত গতকাল বুধবার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিক্ষুব্ধ শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা তাদের দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়ায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় রাস্তার উভয় পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। যার কারণে ভোগান্তিতে পরেন ওই রাস্তায় চলাচল কারী যানবাহন, পথচারী ও যাত্রীরা। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর করে কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেন্ড নিক্ষেপ করে।
পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা তেঁতুইবাড়ী এলাকার শেখ ফজিলাতুন্নেছা কেপিজে হাসপাতালের সামনে সড়কের পাশে গ্রামীণ ফ্যাব্রিকসে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে সারাবো মর্ডান ফায়ার সার্ভিস ও ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।