• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রায়গঞ্জে কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ পূনঃগঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত সোনার বাংলা এসএসসি ২০০০ ব্যাচের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রোজাদার ও শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ রায়গঞ্জে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মৌসুমী বন্যায় আগাম সাড়াদান প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রীর আত্মহত্যা,মেয়ের পরিবারের অভিযোগ হত্যা ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩৩ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার লালমনিরহাটে বিএসএফ গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু! ‘শূন্যের বৃত্ত’ থেকে বের হলো বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত স্বাধীনতা দিবসে ভারত রাশিয়া ও চীনের শুভেচ্ছা ঈদযাত্রায় এবার স্বস্তির আশা চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা টিকিট কালোবাজারি বন্ধে জিরো টলারেন্স: রেলমন্ত্রী প্রশিক্ষণে আসবেন ভুটানের ডাক্তার-নার্স অসাম্প্রদায়িক মানবিক ও স্মার্ট দেশ গড়ার প্রত্যয় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারে মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ব: প্রধানমন্ত্রী সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন 

বন্যাকবলিত এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপন

কলমের বার্তা / ১৪০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ২০ জুন, ২০২২

বন্যাকবলিত সিলেট সুনামগঞ্জ নেত্রকোনা ও উত্তরবঙ্গে জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড ইন্টারনেটসহ নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শনিবার ১২টি ভিস্যাট যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করা হয়। গতকালও নেত্রকোনা ও উত্তরবঙ্গে ভিস্যাট হাব স্থাপন করা হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরকেও  আরও ২৩ সেট ভিস্যাট যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে। ফলে আরও ২৩টি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা স্থাপন করা হবে। মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর প্রয়োজন অনুযায়ী মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সচল  করার কাজেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ ব্যবহার করতে পারবে। ভিস্যাটের মাধ্যমে দুর্যোগকালীন নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএসসিএল এরই মধ্যে একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে, যেটি মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করবে। এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল অপারেটরসমূহকে বানভাসি মানুষদের জন্য প্রত্যেকে তিনটি করে টোল ফ্রি নম্বর চালু করার নির্দেশে দিয়েছেন। নির্দেশনার আলোকে মোবাইল অপারেটরসমূহ টোল ফ্রি নাম্বার চালু করেছে।

টোল ফ্রি নাম্বারগুলো হচ্ছে: গ্রামীণফোন: ০১৭৬৯১৭৭২৬৬, ০১৭৬৯১৭৭২৬৭, ০১৭৬৯১৭৭২৬৮  রবি: ০১৮৫২৭৮৮০০০, ০১৮৫২৭৯৮৮০০, ০১৮৫২৮০৪৪৭৭  বাংলালিংক: ০১৯৮৭৭৮১১৪৪, ০১৯৯৩৭৮১১৪৪, ০১৯৯৫৭৮১১৪৪ এবং টেলিটক: ০১৫১৩৯১৮০৯৬, ০১৫১৩৯১৮০৯৭, ০১৫১৩৯১৮০৯৮। বিটিআরসিতে মনিটরিং সেল গঠন: এদিকে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দুর্গত এলাকাসমূহে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শাখাসমূহের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই সেল বন্যাদুর্গত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক, অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে বন্যাদুর্গত এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে সহজতর করার লক্ষ্যে বিটিআরসির উদ্যোগে টোল ফ্রি নাম্বার চালু করা হয়েছে। এছাড়া এই কার্যক্রমকে অধিক সহজতর করার জন্য কমিশন থেকে ২০টি মোবাইল হ্যান্ডসেট সরবরাহ করা হয়েছে। বিটিআরসি’র লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বন্যাদুর্গত এলাকার সর্বশেষ অবস্থার হালনাগাদ তথ্য কমিশনকে অবহিত করছে এবং মনিটরিং সেলের নির্দেশনায় কার্যকরী টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিটিআরসি জানিয়েছে, বর্তমানে সুনামগঞ্জ, সিলেট এবং নেত্রকোনায় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো প্রায়ই অচল হয়ে পড়েছে এবং পানির অবাধ প্রবাহের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো পুনরায় সচলের কাজটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। এতদসত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন অপারেটর, আইএসপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সচল ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জেনারেটর, অপটিক্যাল ফাইবার ও পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের জোগান দেয়ার ব্যবস্থা চলমান আছে। নেটওয়ার্ক চালু রাখতে মোবাইল অপারেটররা কঠোর পরিশ্রম  করছে: এমটব এদিকে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ওইসব স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে সেসব এলাকায় জেনারেটর দিয়ে নেটওয়ার্ক চালু রাখার চেষ্টা করছে মোবাইল সেবাদাতারা। তবে সড়ক যোগাযোগের পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ায় সাইটগুলোতে জেনারেটর পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইটগুলোতে জেনারেটরের তেল পৌঁছানোও দুষ্কর হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সহযোগিতায় মোবাইল অপারেটররা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রায় ৪৫ শতাংশ সাইট এখনো ডাউন। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রে মোবাইলেও চার্জ দিতে পারছেন না।

69


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর