পটুয়াখালীর বাউফলে গরু চুরির হিড়িক পরেছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৮মে) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বীরপাশা গ্রামের ইউসুফ খান এর বাড়ি থেকে দুটি লাল রং-এর গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই গ্রামের আবু সায়েম খান নামের এক যুবক।
সরজমিনে যানা যায়, উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বীরপাশা নিবাসী মোঃ ইউসুফ খান দীর্ঘদিন ধরেই কৃষি কাজ করে আসছেন।কৃষি কাজের পাশাপাশি মাছের চাষ করে থাকেন।ইউসুফ খানের দুটো গোয়াল ঘরে বাচ্চাসহ মোট ছয়টি গরু ছিল।প্রতিদিনের মতোই রাতে গরুর খড়কুটো ও ভুসি দিয়ে গোয়াল ঘর আটকে দিয়ে ঘুমাতে যেতেন।গোয়াল ঘর দুটো ছিল বাড়ির সামনের দিকে।গোয়াল ঘর দুটো আলাদা আলাদা ছিল।একটিতে দুটো গরু ছিল এবং অপরটিতে চারটি। ওইদিন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মাছ ধরতে চলে যায় ইউসুফ খান।তবে প্রতিনিনের মতো গোয়াল ঘর আটকে দিয়েছে ঠিক কিন্তু ভুলক্রমে তালা লাগানো হয়নি।রাত ৩টার দিকে মাছ ধরে বাড়িতে আসলে গোয়াল ঘরের সামনে এসে দেখতে পান গোয়াল ঘরের একটা ঘরের দর্জা খোলা।হাতের টর্চ লাইট দিয়ে গোয়াল ঘরের ভিতরে দেখেন বাচ্চা গরুটা আছে কিন্তু লাল রং-এর একটি ষাঁড় গরু এবং লাল রং-এর একটি গাভি গরু নেই।তখন ডাক চিৎকার শুরু করলে বাড়ির উঠানে লোকজন জড়ো হয় এবং অনেক খোজাঁখুজি করেও গরু দুটো পাওয়া যায়নি।
আবু সায়েম খান বলেন, রাত সাড়ে বারোটার দিকে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাহিরে বের হই।তবে আমাদের বাড়ির পালিত কুকুরটি ওইদিন কোন ডাকাডাকি করতে দেখলাম না।কুকুরটি স্তব্ধ হয়ে ছিল। আমার ধারণা আমাদের আশেপাশের কিছু কুচক্রী মহল এই গরু চুরির ঘটনার সাথে জড়িত আছে। আর তা-নাহলে দূরের লোক দ্বারা কখনোই সম্ভব হয় না।গরু দুটোর বাজার মূল্য ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি' দ্রুত এই গরু চোরদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি'।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।