ঢাকা-কালাইয়াগামী এমভি ঈগল-৪ নামের একটি যাত্রীবাহী দো-তালা লঞ্চ থকে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের গাঁজা সম্রাট নামে খ্যাত মনির মৃধা এক নারী মাদক কারবারি সহ ৩ জনকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ।

আজ বুধবার (১৯ জুলাই) ভোর ৪ঃ০০ টার দিকে বাউফল সার্কেলের এএসপি সাহেদ আহম্মেদ চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় বাউফল থানার তদন্ত ওসি মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই আবুল বাশার, এসআই মহিউদ্দিন, এসআই আবুওয়াল, এসআই সাইফুল সহ তাদের সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

থানা পুলিশ জানান, গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে ঢাকা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি ঈগল -৪ নামে একটি যাত্রীবাহী দো-তালা লঞ্চে এক নারীসহ দুই ব্যক্তি বিপুল পরিমান গাঁজা বহন করে নিয়ে আসছেন। তারা বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চ ঘাটে নামবেন।

উক্ত তথ্যকে কেন্দ্র করে ভোর রাত ৪টার দিকে লঞ্চটি ধুলিয়া পল্টনে ঘাট দিলে ওই লঞ্চে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক পূর্বক সাড়ে ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন-১/ মোঃ মনির মৃধা (৩৮), বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কোর্টপাড় গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মজিদ মৃধার ছেলে। ২/ একই উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কবিরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শহিদ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৬) ও ৩/ মোসাঃ তানিয়া আক্তার (২০), পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের মৃত রশিদ গাজীর মেয়ে।

এদিকে গাঁজা সম্রাট নামে খ্যাত গাঁজা মনির মৃধার আটকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী জানান, মনির এলাকায় একজন দুর্ধর্ষ বেপরোয়া গাঁজা সম্রাট নামে খ্যাত। তাকে সবাই গাঁজা মনির নামে চিনেজানে। তার উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। কালাইয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে তথা কমলার দীঘির পাড়, কোর্টপাড় রাস্তা-ঘাটে, চর কালাইয়া রাস্তায় ও আনাচে কানাচে, শৌলা বাজার এলাকায়, পূর্ব কালাইয়া এলাকায় সহ বিভিন্ন জায়গায় বসে ওই গাঁজা বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে কিন্তু গাঁজা প্রায়ই দেখেছি আটক হয় আবার অলৌকিক ভাবে কয়েকদিন পর ছাড়া পেয়ে পুনরায় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিনত হয় এবং এইসব এলাকায় রয়েছে একাধিক মাদক কারবারি।

বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।