দুর্নীতি ও কাজে ফাঁকির অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১৫ কর্মকর্তা ও ২২ কর্মচারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম সোমবার মতিঝিলের বিআরটিসি ভবনে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান। বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিআরটিসির ১৫ কর্মকর্তাসহ ৩৭ জনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। শুধু চেয়ারম্যান ঠিক থাকলে হবে না, ডিপো ম্যানেজারদেরও ঠিক থাকতে হবে। ডিপো ম্যানেজাররা ঠিক থাকলে অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বসে থেকে করপোরেশন থেকে বেতন নেবে, সে সুযোগ আর নেই। কর্মীদের পারফরম্যান্স ভালো হলে আবারও অ্যাকাউন্ট চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মীর পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বিআরটিসি এখন টাকা দেয়। যাদের পারফরম্যান্স জিরো, তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। কাজের মান ভালো না হলে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজডই থাকবে। যতদিন পর্যন্ত পারফরম্যান্স বৃদ্ধি না হবে, ততদিন এমনই থাকবে। বিআরটিসির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত থাকবে। কাজ করলে টাকা পাবে, কাজ না করলে টাকা নেই। বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, আমার নীতি হচ্ছে গাড়ি লিজ শূন্যে নিয়ে আসা। লিজে বিআরটিসির কোনো গাড়ি থাকবে না। এ মুহূর্তে মাত্র ৩৪টি গাড়ি লিজে আছে। আমি সব লিজ বাতিল করে দিয়েছি। নতুন করে কোনো লিজ নবায়নের প্রশ্নই ওঠে না। আগে যারা লিজ নিয়েছে এবং লিজের টাকা জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চ্যাসিস বানানোর সক্ষমতা আমাদের এখনো হয়নি। গাড়ি বানানোর সক্ষমতা আমাদের ১০০ শতাংশ আছে। সামনের সপ্তাহে আমাদের মিটিং আছে, এরপর চার-পাঁচটি গাড়ি বানানোর কাজ আমরা শুরু করব। মূলত আমরা শুধু সংযোজন করব। বিআরটিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহনে অংশ নেবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস। দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি এ বাসগুলো সার্ভিস দেবে। বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, একসময়ের খুঁড়িয়ে চলা বিআরটিসি এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিআরটিসি একসময় অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে লাভজনক। লাভের পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর চেষ্টায় আমরা কাজ করছি। বিআরটিসির যাত্রী আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে, আয়ও সে হারে বেড়েছে।