‘আর কত খুন হলে জীবন নিরাপদ হবে’ ব্যানারে এমন শিরোনাম লিখে মুক্তি রানী বর্মণ হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে ময়মনসিংহে। নগরীর শশীলজ জাদুঘরের সামনে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১০টায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‘ময়মনসিংহের সর্বস্তরের জনতা’ ব্যানারে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সামাজিক শাসন কমে যাওয়ায় এ ধরনের হত্যার ঘটনা বাড়ছে।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ নূর জাহান পারভীন বলেন, ‘সমাজ থেকে শাসনব্যবস্থা উঠে যাওয়ায় মুক্তি রাণীর মতো হত্যার ঘটনা ঘটছে। আগে দেখতাম বাবা-চাচা ও আশেপাশের প্রতিবেশীরা শাসন করতেন; আমরা ভয় পেতাম। অন্য কেউ শাসন করলে মা-বাবা বলতেন না, আমার সন্তানকে শাসন করার আপনি কে? কিন্তু এখন আমরা সেটি বলছি।’
তিনি বলেন, পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার মনে হয় এ ধরনের ঘটনার বিচার দ্রুত হওয়া উচিত। দ্রুত বিচার হলে এটা দেখে অন্যরা শিক্ষা নেবে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদা কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমাজকে যদি আমরা এভাবে ছেড়ে দিই তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলা, ডিজিটাল বাংলা, স্মার্ট বাংলা হবে না।’
ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, অ্যাডভেকেট শিব্বির আহম্মেদ লিটন, সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি আবদুল কাদির চৌধুরী মুন্না, কবি ইয়াজদানী কোরাইশী কাজল, রতন সরকার, অঞ্জন সরকার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা এলাকায় মুক্তি রানীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কাউসার মিয়া নামে এক বখাটে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তি রানী বর্মন উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ও প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।