পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত মামলার ওয়ারেন্ট ( গ্রেফতারী পরোয়না ) ভুক্ত প্রধান আসামী জামাত আলীকে গ্রেফতারের পর দেড় লক্ষ টাকা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে এক পুলিশ কর্মকর্তাও জহিরুল ইসলাম কাউন্সিলর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রবিবার(৬নভেম্বর) মধ্যরাতে আটকের সময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে শারীরিক লাঞ্চনা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জামাত আলী। রবিবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদ ও স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম পৌর শহরের সরদারপাড়ায় জামাত আলীর বাড়িতে যান।
এ সময় জামাত আলীর স্ত্রী ও মেয়েকে লাঞ্ছিত করে হাতকড়া পড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাড়ি থেকে বের করে একটু দূরে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে ছেড়ে দিবে বলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। অবশেষে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার কথা স্বীকার করলে কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম জামাত আলীর বাড়ি গিয়ে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ৯০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে আসেন। পরে রাত একটার দিকে জামাত আলীকে বাড়ি পৌঁছে দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও কাউন্সিলর।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদ হাসান বলেন, 'জামাত আলী হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত।তাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে আটক না করে জামিন নেওয়ার জন্য সময় দিতে একটু দূরে নিয়ে কথা বলা হয়েছে মাত্র। টাকা পয়সা নেওয়া ও স্ত্রী-কন্যাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
তবে কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি
মঙ্গলবার (৮নভেম্বর) সকালে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে পাবনা পুলিশ সুপার বরাবর ভূক্তভোগীর স্ত্রী আসমা খাতুন অভিযোগ দিয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে। একজন ব্যক্তির অপকর্মের দায় পুরো বিভাগ নিবে না। তাই ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।