পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের উন্নয়নে খাস জায়গার উপর দোকান ঘর নির্মাণ করায় বাধা দিলেন সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গুলশানারা পারভীন লিপি। এমন দুঃখ জনক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে বিশিপাড়া ।
জানাযায়,উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে বিশিপাড়া জামে মসজিদের পাশে পরিত্যক্ত ২৮ শতাংশ সরকারি খাস সম্পত্তির রয়েছে। গ্রামবাসী মসজিদের উন্নয়ন কল্পে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে ঔ সরকারি খাস সম্পত্তির উপর দোকান ঘর নির্মাণের উদ্দ্যেগ নেয়। গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সকালে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে ঔ জায়গা পরিস্কার করে বালু ফেলা হয়।
নেত্রী গুলশানারা পারভীন লিপির পাথরঘাটা গ্রামে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত খাস সম্পত্তি দখল করে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। এসময় মহিলা নেত্রী তার স্বামীকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ বন্ধ করে দেন।
পরের দিন নেত্রীর স্বামী সাবেক পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফছার আরী তার নিজ বাড়িতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির সভাপতির ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদসহ ঐ গ্রামের আরো তিন জন প্রধানের নাম উল্ল্যেখ করে বলেন ঐ জায়গায় থাকা ৩৫ হাজার টাকার গাছ কেটে ফেলেছে এবং আমাকে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাস জায়গা আগাছা পরিস্কার করা হয়েছে, সেখানে কিছু বালু রাখা আছে।
এ বিষয়ে একাধিক স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাথর ঘাটা বিশিপাড়া জামে মসজিদ কমিটি এ খাস জায়গা পরিস্কার করে বালু ফেলেছে। ঐ গ্রামের মৃত আঃ গফুরের ছেলে শাহাদত হোসেন, নজমাল এর ছেলে মোজাম্মেল প্রং , মজনু সরকার ও আঃ ছাত্তর বলেন, আমাদের মসজিদের তেমন কোন আয় না থাকায় গ্রাম বাসির প্রস্তাবে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি এই জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে । এখানে আজাদ বা গ্রামের কার ব্যক্তি স্বার্থে নয়।
সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গুলশানারা পারভীন লিপি বলেন, মসজিদ মাদ্রসা সরকারি খাস জায়গা নিতে পারে না, তাছাড়া আমার আগত নিলে আমি নেব। তিনি আরো বলেন তৃমুখি রাস্তা তাই ঐ জায়গা পরিস্কার রাখতে হবে তানা হলে পথচারিদের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, মসজিদ কমিটির আমি কেউ নই তাই এই কাজের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা আমাকে রাজ নৈাতিক ভাবে হেহ করার উদ্দেশ্য, ছাড়া কিছু নয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন এবিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।