বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের পাশাপাশি এ বছর প্রথমবারের মতো আকাশপথে দায়িত্ব পালন করবে বিমানবাহিনী।
জেলেদের অভিযোগ- এ নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই জেলেদের সরকারি সহায়তা প্রদানের দাবি থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার এ সুযোগে দেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করবে প্রতিবেশী ভারতের জেলেরা, যা দেশের জেলে ও মৎস্য ব্যবসাকে ধ্বংস করে দেবে। তাই ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞাকালে সব জেলেদের যথাযথভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার দাবি বরগুনার জেলে ও ট্রলার মালিকদের।
এদিকে দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে প্রথমবারের মতো আকাশপথে বিমানবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনায় মোট ৩৭ হাজার ৭০ জন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালে নিবন্ধিত প্রতিজন জেলে ২০ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাল পাবেন। ইতোমধ্যেই বরাদ্দ এসেছে সামনের সপ্তাহ থেকে চাল দেওয়া শুরু হবে। অবরোধের সংবাদ জানাতে আমরা সারা বরগুনায় প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। তারপরেও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, জেলা প্রশাসনের বিশেষ মোবাইল টিমসহ মৎস্য বিভাগ নদী ও সাগরে অবরোধ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পেট্রোলিংয়ে থাকবে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।