মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকার নাহিদ কটন স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে ফ্যাক্টরীর ভেতরেই এ বিক্ষোভের শুরু হয়ে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা ক্রমাগত চলে বলে জানা যায়।মালিক পক্ষ-শ্রমিকদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে মির্জাপুর থানা ও গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।কিন্তু সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যার্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে আইনশৃঙ্খলার বাহিনী ও শ্রমিকদের সাথেও সংঘর্ষ হয় বলে জানান শ্রমিকরা।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। আবার শ্রমিকরাও করেন পাল্টা ধাওয়া।এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা লাঠিপেটা ও টিয়ারশেল মারেন। পাল্টা জবাবে শ্রমিকরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন।এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক, আনসার বাহিনী,পথচারী সহ আনুমানিক ১০০ জন ব্যাক্তি আহত হন।অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি, মাথা, পা,কপাল সহ অনেক স্থানে গুরুতর জখম হয়ে গেছে বলে জানান ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ ।
এদিকে শ্রমিকরা হাইওয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করলেও তা ১ ঘান্টা পর খুলে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, শ্রমিকদের যে বেতন ধরা হয়েছে, মালিক পক্ষ ঈদের আগে ঐ বেতনের অর্ধেক দিবে।বাকী টাকা ঈদের পর পরিশোধ করবে বলে জানা যায়। আবার ঈদ বোনাস দেয়ার কথা বেতনের টাকার ২০ ভাগ, কিন্তু মালিক পক্ষ তাও দিতে রাজি না বলে শ্রমিকরা জানান।শ্রমিকরা আরো জানান,আমরা এর প্রতিবাদ করেছি বলে মালিক পক্ষ পুলিশ খবর দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
রেখা,আখি ও সজল সহ অনেক শ্রমিকরা বলেন,আমরা ঈদ করব বেতনের টাকা দিয়ে।আর সেই টাকা আমাদের না দিলে আমরা কিভাবে ঈদ করব।আমাদের পরিবার আছে,সন্তান আছে,মা-বাবা আছে।তাহলে কি আমরা ঈদ করব না?আবার আমরা ন্যায্য দাবি করলে আমাদে পুলিশ দিয়ে পেটানো হয়,পুলিশরা আমাদের গায়ে হাত দেয়।এই অধিকার তাদের কে দিল?আমরা আমাদের ন্যায্য বিচার চাই।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু কারো গায়ে হাত দেই নাই।এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও তিনি জানান।
নাহিদ কটন স্পিনিং মিলের জিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে পারব না
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।