আশরাফুল হক, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামান শাকিলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৬ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নির্মল কুমার মোহন্ত। জেল হাজতে থাকা শাকিলুজ্জামান শাকিল
উপজেলার সিংগিমারী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি আলিমুদ্দিন সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামানের ভাই হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মচারী আজমীর আলমের। বড় ভাইয়ের বিরোধপুর্ন জমি দখলে নিতে শুক্রবার দলবল নিয়ে ওই জমিতে খুটি দেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামান। এতে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মায়ানুর রহমান পলাশ বাঁধা দিলে তাকে বেধম মারপিট করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন ভাই আমিনুর রহমান, ভাতিজা আরমান ও প্লাবন। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী মিলিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ হামলাকারীদের ১৪জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশংকাজনক অবস্থায় আরমান ও প্লাবন এবং অপরপক্ষের আজমীর আলম ও মিনারুল ইসলাম হাবিবকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে হামলাকারীদের ২০ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মিজানুর রহমান। এ মামলায় আহত আজমীর ও মিনারুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ মামলায় শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৪ জনের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা শাকিলুজ্জামান ও তার ভাই স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী আজমীরসহ ৪ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নির্মল কুমার মোহন্ত বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ১৪জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের দুইজনকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।