শিরোনামঃ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার : সুনামগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই বরগুনায় এনসিটিএফ এর ত্রৈমাসিক সমন্বয় ও বিদায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের দাবীতে বরিশালে ইয়ুথ ফোরামের সড়ক অবরোধ সলঙ্গায় কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন গাজীপুরে ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া শিশু নোমান কাজিপুরে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে কাতারের আমির আসছেন সোমবার রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট:

লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র-সহ রেল কর্মচারী আটক-রফা-দফায় মুক্তি!

কলমের বার্তা / ৩২২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

লালমনিরহাটে জালিয়াতির মাধ্যমে সহিদ মিয়া নামের একজন ব্যাক্তিকে বুকিং সহকারী পদে নিয়োগপত্র দেওয়ায় অভিযোগে রেলওয়ের লোকোশেডের ফোরম্যান অফিসের প্রধান সহকারী ফরিদুল ইসলামকে আটক করে রেলওয়ের বানিজ্যিক শাখার কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার বিকালে লালমনিরহাট রেল বিভাগের বানিজ্যিক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর আটককৃত ফরিদুলকে জিআরপি থানায় কিছুক্ষণ আটক রাখার পর রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বানিজ্যিক শাখার কর্মকর্তা থানায় জালিয়াতির অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিলেও এক পর্যায়ে রফাদফার মাধ্যমে আর অভিযোগ করেনি কেউ।

জানা গেছে,লালমনিরহাট রেল বিভাগের লোকোশেডের ফোরম্যান অফিসের প্রধান সহকারী ফরিদুল ইসলাম গত ৫ মাস আগে লালমনিরহাটে যোগদান করেছেন। যোগদানের পর লালমনিরহাট রেলওয়ের বানিজ্যিক বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে হাত মিলিয়ে তিনি ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সহিদ মিয়াকে শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ী ভিত্তিতে টিএলআর বুকিং সহকারী পদে যোগদান করাতে নিয়ে আসেন। যোগদানের পূর্বে নিয়োগপত্র সহিদ মিয়াকে দেখানো হয়। তখন তিনি ওই নিয়োগপত্রের ছবি মোবাইলে ধারন করেন। ফরিদুল লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে সহিদ মিয়াকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে। এই সুযোগে সহিদ মিয়া তার পূর্বপরিচিত লালমনিরহাট রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী হারুনের সহযোগিতায় নিয়োগপত্রটির যাচাই বাচাইয়ের জন্য বানিজ্যিক বিভাগের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নিকট গেলে তিনি নিয়োগপত্র প্রদানকারীকে আনতে বলেন। এরপর সহিদ মিয়া মুঠোফোনে ফরিদুলের সাথে যোগাযোগ করেন এবং নিয়োগ পত্রটির সঠিকতা যাচাইয়ের কথা বলেন। তখন ফরিদুল স্টেশনে এসে সহিদ মিয়াকে সাথে নিয়ে বাণিজ্যিক শাখার জাহাঙ্গীর আলমের নিকট নিয়ে যায়। পরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন এই নিয়োগ পত্রটি ভুয়া এবং এটি আমার স্বাক্ষর নয়। এরপরেই ফরিদুলকে আটক করে বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাকে আটকের পর পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় জিআরপি থানায় রাখা হয়। এরপর রাতেই রেলওয়ের বানিজ্যিক বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জিআরপি পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় জালিয়াতির মামলা করার উদ্দেশ্যে লালমনিরহাট সদর থানায় নিয়ে যায় ফরিদুলকে। তার কিছুক্ষণ পরেই রেল বিভাগের কর্মকর্তারাদের সাথে রফাদফা হলে সদর থানা থেকে বের হয়ে যান ফরিদুল।

এ বিষয়ে মোঃ সহিদ মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় থাকাতে এক ব্যাক্তির সাথে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে রেলওয়ের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলেন। আমি বলেছি নিয়োগ পাওয়ার পর টাকা দিবো। এ শর্তে তিনি আমাকে লালমনিরহাট রেলওয়ের ফরিদুলের কাছে পাঠিয়ে দেয়।আমি ফরিদুলের কাছে আসলে তিনি আমাকে একটি নিয়োগপত্র দেন এবং তা যাচাই বাচাই করার পর জানতে পারি এই নিয়োগপত্রটি ভুয়া।

অভিযুক্ত ফরিদুল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ঢাকার মামুন নামের এক ব্যাক্তির সাথে আমার পরিচয় তিনি মেইলে এই নিয়োগপত্রটি পাঠিয়েছেন। পরে জানতে পারি এই নিয়োগপত্রটি ভুয়া। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় আমার নামে মামলা করা হয়নি।

জিআরপি থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রণয় কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ফরিদুলকে স্কট দিয়ে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে মামলা করার কথা থাকলেও মানবিক কারনে তারা মামলা করেনি বলে পরবর্তীতে জানতে পেরেছি।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, লালমনিরহাট রেল বিভাগের লোকজন থানায় এসেছিলেন। তবে তারা কোনো অভিযোগ করেনি এবং কোনো আসামী জমাও দেয়নি।

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমি সদর থানায় ঠিকই গিয়েছিলাম। তবে নামাজে যাওয়ার কারনে তেমন কিছু জানতে পারিনি। নামাজ থেকে ফিরে এসে দেখি তারা সবাই চলে গেছে। আপনি বাণিজ্যিক শাখায় খোঁজ নিন।

লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় মামলা করা হয়নি তবে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার উদ্দেশ্য তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে রফাদফা হয় এই কারনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেননি এমন প্রশ্নে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

লালমনিরহাট রেলওয়ের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বলেন, গতকাল আমি দিনাজপুরে থাকার কারনে এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারিনি। তবে ফরিদুলকে লালমনিরহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এজাহার কমপ্লিট না হওয়ার কারনে মামলা করা হয়নি। ওর বিরুদ্ধে থানায় মামলা কিংবা বিভাগীয় ব্যাবস্থা যে কোনো একটা করবো আর কি। ফরিদুল যেটা করেছে সেটি প্রতারণা এবং চাকুরী বিধি বিধান পরিপন্থী। আমি সরেজমিনে বিষয়টা জেনে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এবং থানাতেও মামলা করার চেষ্টা করবো।

112


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর