লালমনিরহাট বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ফেন্সিডিল ও গাঁজা জব্দ
আশরাফুল হক লালমনিরহাটঃ সীমান্তে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ফেন্সিডিল ও গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝাউরানী বিওপির বিশেষ টহলদল কর্তৃক ২ টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভারতীয় ফেন্সিডিল ও গাঁজা জব্দ করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, রোববার (২ নভেম্বর) বিকাল আনুমানিক ৫টা ৪৫ মিনিটে ঝাউরানী বিওপি’র আওতাধীন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার খামারভাতী নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় ফেন্সিডিল ৮৩ বোতল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে, একই স্থানে সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটে ঝাউরানী বিওপি টহলদল কর্তৃক অন্ধকারে গোপনে নজরদারি চলাকালীন সময়ে হঠাৎ সীমান্তের কাছাকাছি কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চলাচল লক্ষ্য করে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাথে থাকা মালামাল মাটিতে ফেলে দ্রুত ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ভারতীয় গাঁজা ৪৪ কেজি উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ভারতীয় ফেন্সিডিল ৮৩ বোতল, যার বাজার মূল্য ৩৩ হাজার ২ শত টাকা এবং ভারতীয় গাঁজা ৪৪ কেজি, যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকাসহ সর্বমোট বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার ২ শত টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।








