লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া সীমান্তে মহান বিজয় দিবসেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে ৩ বাংলাদেশি গরু পারা পারকারী (ডাঙ্গোয়াল) আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার সময় উপজেলার দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গরু পারাপারের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ। এতে তিনজন আহত হয়। আহতরা হলেন, হাতিবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া আজিম বাজার এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২১), একই উপজেলার গেন্দিকুরি এলাকার বাসিন্দা শ্রী সুজন (২১) এবং গেন্দুকুরি বিলুপ্ত সিটমহল এলাকার আসির উদ্দিনের ছেলে হাকিম মিয়া (৩৫)।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক মোঃ বশির উল্লাহ জানান, ওই দৈখাওয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৯০১ হতে ১৫০ গজ ভারতের অভ্যান্তরে বান্নিগড়া নামক স্থানে ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোর ৪ টায় বাংলাদেশী একদল চোরাকারবারীর কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গরু পারাপার করছিল। এসম ভারতীয় ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বড়মরিচা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৬ রাউন্ড ফায়ার করে। এতে বাংলাদেশী ওই ৩ চোরাকারবারীর দুইজনের পায়ে ও একজনের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় অন্যান্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পায়ে গুলি লাগা আহত দুই জন চোরাকারবারিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অপরজন অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে ৩ বাংলাদেশি গরু পাড়াপাড়কারী আহত হওয়ায় খবর শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরো দুজনকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আহতরা সহ এরা একই গ্রুপের নয়। অন্য একটি গ্রুপের। তিনি আরও জানান তাকে বিএসএফ এর সদস্যরা ছেড়ে দিয়েছে এমন কথাও শুনেছি। তিনি বিজিবির টহল দলের বরাত দিয়ে বলেন গুলি নয়, আমার জোয়ানরা সাউন্ড গ্রেনেড এর শব্দ শুনেছে। তবে এটি বিএসএফ এর সদস্যরা ভারতের অভ্যান্তরে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রায়শই করেন। সার্বিক বিষয়ে নিশ্চিত হবার চেষ্টা চলছে বলে জানান লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায় লেঃ কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।