সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন শুরু হবে আগামী অর্থবছর। চলতি বছরের ১ জুলাই যুক্ত হওয়ার যে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়। অন্যদিকে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষ হয় বেলা ১টার দিকে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১ জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে যে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়। সবার মতো তারাও ২০২৫ সালের ১ জুলাইয়ে যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের তিনটা দাবির মধ্যে এটাও ছিল।’
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে।’ তবে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত জানাব।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম, অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।
প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বসার কথা ছিল ওবায়দুল কাদেরের। কিন্তু সেদিন বৈঠক হয়নি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।