বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ৩৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ছিল ২০ আগষ্ট। অথচ নিজ জন্মভূমি সলঙ্গা এলাকায় কোথাও তার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা দেখা যায়নি।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ কৃষক আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন ,তেভাগা আন্দোলনসহ দেশ ও জাতীর ক্রান্তিকালে সকল মুক্তির আন্দোলনে সামনে থেকে জাতির অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থেকেছেন আজিবন ।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের নামে রায়গঞ্জের নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ সরকারি অনার্স কলেজ, উল্লাপাড়া উপজেলার চড়িয়া মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ বিজ্ঞান মাদ্রাসা, পাটধারী মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ উচ্চ বিদ্যালয়, সলঙ্গা মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগার,সলঙ্গা সমাজ কল্যান সমিতি,মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ ফাউন্ডেশন সহ রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবছর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দোয়া,মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা করা হলেও এবার সলঙ্গার কোথাও তার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেনি কেউ। মহান এ নেতা ১৯৮৬ সালের ২০ আগষ্ট ৮৬ বছর বয়সে তৎকালিন ঢাকা পিজি হাসপাতালে রাতের শেষ প্রহরে তিনি ইন্তেকাল করেন ।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ১৯০০ সালের ২৭ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার তারুটিয়া (রশিদাবাদ) গ্রামে এক পীর বংসে জন্ম গ্রহন করেন।
তার পিতার নাম শাহ সৈয়দ আবু ইসহাক ও মাতা আজিজুন্নেছা। আজীবন সংগ্রামী মানুষ ছিলেন মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ। তার নেতৃত্বে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনে সলঙ্গা হাটে বিট্রিশ পুলিশের গুলিতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লোক হতাহত হয় ।
১৯৫২ সালে তারই নেতৃত্বে হয় ভাষা আন্দোলন । ১৯৫৫ সালে ১২ আগষ্ট পাকিস্তানের গন পরিষদে রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলার দাবীতে তিনিই প্রথম বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন । ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সলঙ্গা সমাজ কল্যান সমিতি ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সলঙ্গা থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ জানান, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সভাপতি/সম্পাদক এব্যাপারে আমাকে কিছু জানায়নি।মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়নি এটা খুবই দু:খ জনক।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সাধারণ সম্পদাক আব্দুল হান্নান নান্নু জানান, মৃত্যু বার্ষিকী পাঠাগারে পালন করা হয়নি তবে মসজিদে দোয়া করা হয়েছে।
মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ পাঠাগারের সভাপতি এটিএম লুৎফর রহমান দিলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে আসার পর কারো সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করলো কিনা আমি জানিনা। আমার শরিরটা ভাল না তাই একটু রেষ্টে আছি।
এই নিউজ পোর্টাল এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।